আন্তর্জাতিক

ইউরোপে সংক্রমণ ১০ কোটি ছাড়িয়েছে

ইউরোপে করোনা সংক্রমণ ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। করোনা মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের মোট সংক্রমণের এক তৃতীয়াংশের বেশিই ইউরোপে শনাক্ত হয়েছে। এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

Advertisement

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এরপর বিভিন্ন দেশে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে গত কয়েক মাস ধরেই নতুন করে ফের মহামারির হটস্পটে পরিণত হয়েছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। অতিসংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের কারণে সম্প্রতি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে।

আটলান্টিক উপকূল থেকে আজারবাইজান এবং রাশিয়াসহ ইউরোপের ৫২টি দেশ ও অঞ্চলে গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে ১০ কোটি ৭৪ হাজার ৭৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সারা বিশ্বে যে পরিমাণ সংক্রমণ ধরা পড়েছে এই সংখ্যা তার এক তৃতীয়াংশের বেশি।

গত সাত দিনেই ইউরোপে প্রায় ৫০ লাখ সংক্রমণ ধরা পড়েছে। অনেক দেশেই প্রায় প্রতিদিনই সংক্রমণের রেকর্ড হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে শুধু ফ্রান্সেই নতুন করে ১০ লাখের বেশি সংক্রমণ ধরা পড়েছে। করোনা মহামারি শুরুর পর ফ্রান্সে যে পরিমাণ সংক্রমণ ধরা পড়েছে তার মধ্যে ১০ শতাংশ গত এক সপ্তাহে শনাক্ত হয়েছে।

Advertisement

প্রতি এক লাখ বাসিন্দার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনাও ইউরোপে। ডেনমার্কে প্রতি এক লাখে ২ হাজার ৪৫, সাইপ্রাসে ১ হাজার ৯৬৯ এবং আয়ারল্যান্ডে এই সংখ্যা ১ হাজার ৯৬৪।

এএফপি যে তথ্য দিয়েছে তা সরকারি তথ্য। এর বাইরেও শনাক্ত হয়নি এমন অনেক কেস থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ অনেক রোগীর দেহেই করোনার লক্ষণ দেখা না যাওয়ায় তারা চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন না।

তবে সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও মৃত্যুর ঘটনা কম থাকায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে ইউরোপে। গত এক সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিনই ইউরোপে মারা যাচ্ছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ। আগের সপ্তাহের তুলনায় এই হার ৭ শতাংশ কম। এর আগে গত বছরের জানুয়ারিতে প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা ছিল গড়ে সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ইউরোপের দেশগুলোতে ভ্যাকসিন গ্রহণের হার সবচেয়ে বেশি। কিন্তু ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর থেকে ইউরোপে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছেই। ইউরোপের প্রায় ৬৫ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ৬১ শতাংশই ভ্যাকসিনের দুই ডোজ নিয়েছেন। অপরদিকে বিশ্বব্যাপী ৫৮ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন যাদের মধ্যে ৪৯ শতাংশ ভ্যাকসিনের দুই ডোজ নিয়েছেন।

Advertisement

টিটিএন/এমএস