করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বুস্টারডোজসহ চলমান টিকাদান কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে। রাজধানীসহ সারাদেশে মেডিকেল কলেজ ও বিশেষায়িত হাসপাতাল থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত করোনা প্রতিষেধকের টিকাদান করা হচ্ছে।
Advertisement
গত বছরের ২৭ জানুয়ারি রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাদানের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে ফাইজার, সিনোফার্ম, মর্ডানা ও সিনোভ্যাকসহ আরও চারধরনের টিকাযুক্ত হয়।
গত ২৭ জানুয়ারি থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে সর্বমোট টিকা নেওয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৬৪ লাখ ৬৬ হাজার ৪৬৯ জন। এর মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫৪ হাজার ৭১৫ জন, ফাইজারের ৭৮ লাখ ৭৫ হাজার ৫৩৫ জন, সিনোফার্মের ৯ কোটি ১১ হাজার ৩৯৩ জন, মডার্নার ৫৩ লাখ ৫৫ হাজার ৬৪৪ জন এবং সিনোভ্যাকের ৫ লাখ ৬৯ হাজার ১৮২ জন টিকা নেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, নিয়মিত টিকাদানের (প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান) পাশাপাশি তৃতীয় ডোজ অর্থাৎ বুস্টার ডোজ টিকাদান কর্মসূচিতে গতিশীলতা আসছে। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় (১ জানুয়ারি পর্যন্ত) বুস্টার ডোজের টিকা নিয়েছেন ৩৪ হাজার ৬১ জন।
Advertisement
তাদের মধ্যে পুরুষ ২২ হাজার ৪৭৩ জন ও নারী ১১ হাজার ৫৮৮ জন। এ নিয়ে বুস্টার ডোজের টিকা নেওয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৭৭ হাজার ৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গত ১৯ ডিসেম্বর একজন স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে বুস্টার ডোজের কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়। এদিকে বুস্টার ডোজ ছাড়া অবশিষ্ট চলমান টিকাদান কর্মসূচিও দ্রুতগতিতে চলছে।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (১ জানুয়ারি পর্যন্ত) রাজধানীসহ সারাদেশে সর্বমোট ৮ লাখ ৭৮ হাজার ৭৯৪ জন টিকা নেন। তাদের মধ্যে প্রথম ডোজের ৩ লাখ ১৩ হাজার ৯৯৯ জন ও দ্বিতীয় ডোজের ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৭৯৫ জন রয়েছেন।
এদিকে ১ নভেম্বর থেকে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু হয়। ১ জানুয়ারি পর্যন্ত সর্বমোট ৪০ লাখ ১১ হাজার ৬০ জন টিকা নেন। তন্মধ্যে প্রথম ডোজের ৩৬ লাখ ৩৯ হাজার ১৫০ জন ও দ্বিতীয় ডোজের ৩ লাখ ৭১ হাজার ৯১০ জন টিকা নেন।
এছাড়া তৃণমূল পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমেও টিকাদান করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ২ কোটি ৫৭ লাখ ৯৯ হাজার ১৪৪ জন নেন। তাদের মধ্যে প্রথম ডোজের ১ কোটি ৭০ লাখ ৮২ হাজার ২১৬ জন ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেন ৮৭ লাখ ১৬ হাজার ৯২৮ জন।
Advertisement
এমইউ/এমআরএম/জেআইএম