শরীরের বিভিন্ন স্থানের চেয়ে পেটে খুব দ্রুত মেদ জমে। যা কমানো বেশ কষ্টকর হয়ে পড়ে। আবার শরীরের বিভিন্ন স্থানের মেদের চেয়ে পেটের মেদ কমানো সবচেয়ে কঠিন। এজন্য একদিকে যেমন ডায়েট করতে হয়, অন্যদিকে পেটের ব্যায়াম সহ শরীরচর্চার পরিমাণও বাড়াতে হয়।
Advertisement
আপনিও যদি পেটের ভুঁড়ি নিয়ে চিন্তিত থাকেন, তাহলে নতুন বছরে কয়েকটি নিয়ম মেনে ঝড়িয়ে ফেলুন মেদ। নতুন বছরে অনেকেই বিভিন্ন বিষয়ের পরিবর্তনের সংকল্প নিয়ে থাকেন। ভুঁড়ি কমানো এই তালিকায় প্রথমের দিকেই থাকবে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক, নতুন বছরে ভুঁড়ি কমানোর ঘরোয়া কিছু উপায়-
>> পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। দিনে অন্তত ৩-৪ লিটার পানি পান করুন। পর্যাপ্ত পানি খেলে শরীর থাকবে সুস্থ আর পেটের ভুঁড়িও কমবে। শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখলে মেদ ঝরে দ্রুত।
পাশাপাশি গ্রিন টি, রং চা, দুধ ছাড়া কফি বা ফলের রসও স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। পানি দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখে ও অসময়ে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া থেকেও আপনাকে দূরে রাখে।
Advertisement
>> অতিরিক্ত মিষ্টি খাবেন না। মিষ্টান্ন বা ডেসার্টে থাকে অসম্পৃক্ত তেল ও প্রচুর পরিমাণে চিনি। যা শরীরে বেশি সময় থাকে ও আরও ক্ষুধা বাড়ায়। এর ফলে ওজন কমে না সহজে। কোমল পানীয় খাওয়াও বন্ধ করুন।
>> প্রোটিনের পরিমাণ বাড়াতে হবে। প্রোটিন হজম হতে সময় লাগে, তাই অসময়ে খিদে লাগে না। একই সঙ্গে শরীরকে দেয় শক্তি। মাছ, মাংস, ডিমের বাইরে প্রোটিন থাকে ডাল, কাঠবাদাম, সবুজ সবজি ও ওটসে। তাই এসব খাবার খান ও ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে যান।
>> খাবারে লবণের পরিমাণ যতটা পারেন কমান। এই কাজটি বেশ শক্ত হলেও খুব কার্যকর। লবণে সোডিয়াম থেকে হয় ব্লোটিং, বা পেট ফুলে যাওয়া। আর তাতে কমে যায় শরীরের বিপাকীয় গতি যার জন্য ভুঁড়ি কমানো হয়ে ওঠে কষ্টকর।
>> নির্দিষ্ট সময় আনুযায়ী খাবার খান। যথেষ্ট ঘুমাতে হবে। শরীরচর্চার বিকল্প নেই। রাতে যতটা সম্ভব দ্রুত খেতে হবে। ঘুমানোর অন্তত ২-৩ ঘণ্টা আগে। রাকের খাবার যেন হালকা হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। কারণ রাতে ভারি খাবার খেলে তা সহজে হজম হয় না। ফলে ভুঁড়ি বেড়ে যায়।
Advertisement
জেএমএস/এমএস