খেলাধুলা

ভারতের কাছে হেরে সেমি থেকে বিদায় বাংলাদেশের

ক্রিকেটে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ এখন যেন অন্যরকম এক উত্তাপ। সেটা বড়দের হোক কিংবা ছোটদের। সমানে সমান লড়াই করা কিংবা বিশ্বকাপের ফাইনালে হারিয়ে দেওয়া, যুব ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখন ভারতের জন্য শক্ত প্রতিপক্ষ।

Advertisement

তবে এবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে এই ভারতের সামনে দাঁড়াতেই পারলো না বাংলাদেশ। ১০৩ রানের বড় হারে ফাইনালের আগেই বিদায় হয়ে গেলো যুবাদের।

শারজাহ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে জয়ের লক্ষ্য ছিল ২৪৪ রানের, ব্যাটিং ব্যর্থতায় সম্ভাবনাও তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশের যুবারা। ধুঁকতে ধুঁকতে শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়েছে ১৪০ রানে, ইনিংসের ৭০ বল বাকি থাকতেই।

চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ওত খারাপ ছিল না বাংলাদেশের। ৩১ বলে ৩১ বলের উদ্বোধনী জুটি এনে দেন মাহফিজুল ইসলাম আর তাহজিবুল ইসলাম। এই জুটিতে অবশ্য পুরো অবদানই মাহফিজুলের। তাহজিবুল আউট হন মাত্র ৩ রানে।

Advertisement

এরপর ২৩ বলে ২৬ রানের ঝড় তুলে মাহফিজুলও সাজঘরের পথ ধরলে হঠাৎ মরক লাগে যুবা টাইগারদের ইনিংসে। প্রান্তিক নওরোজ নাবিল (১২), আইচ মোল্লা (০), মোহাম্মদ ফাহিম (৫), এসএম মেহরব (৭), আশিকুর জামান (১৫), নাইমুর রহমান (৬)-একে একে সঙ্গী হারাতে থাকেন পাঁচ নম্বরে নামা আরিফুল ইসলাম।

একশর আগেই (৮৭ রানে) ৭ উইকেট হারানো বাংলাদেশ আর জয়ের পেছনে ছুটতে পারেনি। আরিফুল ইসলাম একটা প্রান্ত ধরে রেখে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন ৭৭ বলে ৪২ করে (এক বাউন্ডারিতে)। এছাড়া অধিনায়ক রাকিবুল ইসলামের ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ১৬।

এর আগে ভারতকে ভালোভাবেই চেপে ধরেছিলেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বোলাররা। কিন্তু শেষদিকে দারুণভাবে ঘুরিয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের যুবারা। যার সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৩ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা।

ইনিংসের ৪৫ ওভারের মধ্যে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলার পরেও, শেষ ৫ ওভারে ৫০ রান যোগ করেছে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল। শুরুতে যে নিয়ন্ত্রিত ও আক্রমণাত্মক বোলিং করেছিল বাংলাদেশ যুবারা, শেষদিকে তা আর ধরে রাখতে পারেনি।

Advertisement

শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়েছিল বাংলাদেশ। শুরুর বোলিং তোপে ইনিংসের প্রথম ২৫ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৭৭ রান করতে পেরেছিল ভারত। সেখান থেকে শেষ ২৫ ওভারে তারা করে আরও ১৬৬ রান।

ভারতীয়দের আড়াইশ ছুঁইছুঁই সংগ্রহ এনে দেওয়ার বড় কৃতিত্ব তিন নম্বরে নামা শাইক রশিদের। ইনিংসের নবম ওভারে উইকেটে এসে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ১০৮ বলে ৯০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। যেখানে ছিল তিন চার ও একটি ছয়ের মার।

শেষ দিকে মারমুখী ব্যাটিংয়ে ভিকি ওস্তাওয়াল মাত্র ১৮ বলে খেলেন ২৮ রানের ক্যামিও ইনিংস। এটিই ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। আরেক বোলার রাজাবর্ধন হাঙ্গারেকার ৭ বলে করেন ১৬ রান। এছাড়া ইয়াশ ঢুল ২৬ ও রাজ বাওয়ার ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান।

বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে অধিনায়ক ও বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়া তানজিম হাসান সাকিব, নাইমুর রহমান, আরিফুল ইসলাম ও এসএম মেহরব হাসান পান একটি করে উইকেট।

এমএমআর/আইএইচএস/