খেলাধুলা

মিরপুর স্টেডিয়ামে বসানো হচ্ছে নতুন চেয়ার

সেই ২০১১ সালের আইসিসি বিশ্বকাপের সময় নতুন সাজে সেজেছিল দেশের ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলো। রাজধানীর ঢাকার শেরে বাংলা, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম, সিলেটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে বসানো হয়েছিল রং-বেরংয়ের চেয়ার।

Advertisement

প্রায় এক দশক আগে বসানো চেয়ারগুলো আর অক্ষত নেই। সময়ের প্রবাহমানতায় সেগুলোর বড় অংশই ভেঙ্গে গেছে। মাঝেমধ্যে ভাঙ্গা চেয়ারগুলো মেরামত করা হয়েছে। তবে একদম নতুনভাবে আর চেয়ার বসানো হয়নি।

এবার বিসিবির নতুন পরিচালক পর্ষদ নির্বাচিত হবার পর বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন, ‘আমরা বিভিন্ন স্টেডিয়ামের নতুন চেয়ার বসাবো।’ তার কথাতেই বোঝা যাচ্ছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ নয়, বিসিবিই শেরে বাংলাসহ বিভিন্ন স্টেডিয়ামের চেয়ার বসানোর কাজ করবে।

অবশেষে কথা অনুযায়ী কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন আজ বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিলেন, তারা খুব শিগগিরই অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজে হাত দেবেন এবং একেকটি স্টেডিয়াম ধরে ধরে অবকাঠামোর উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করবেন।

Advertisement

বিসিবি প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, বর্তমান বোর্ড দায়িত্ব গ্রহণের পর কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেখানে অগ্রাধিকার ছিলো কাঠামোর কিছু উন্নতি করা। সে ধারাবাহিকতায় আমরা কিছু কাজ এরইমধ্যে শুরু করেছি। আমরা ইভেন্ট অনুসারে যে সব মাঠে আসন্ন ইভেন্টগুলো হবে সেগুলোকে আগ্রাধিকার দিয়ে নূন্যতম রিকোয়ারমেন্টগুলো আপগ্রেড করা কিংবা ডেভেলপ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। তারই অংশ হিসেবে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের নষ্ট হওয়া চেয়ারগুলো রিপ্লেস করার চেষ্টা করছি।’

এই চেয়ার বসানোর কাজকে ঠিক অবকাঠামোগত পরিবর্তন মানতে নারাজ বিসিবি সিইও। তার কথা, অবকাঠামোগত পরিবর্তন নয়, যে সব ফ্যাসিলিটিজগুলো শীঘ্রই আমাদের উন্নতি করতে হবে সেগুলো নিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করবো। উদাহরণ হিসেবে, চট্টগ্রামে একটা লিফট নষ্ট। সেটা ঠিক করতে সময় লাগতো, ওটা আমরা রিপ্লেস করবো। এ ধরণের কিছু বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি এবং ইভেন্ট অনুসারে আমাদের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি হবে বা অন্যান্য আন্তর্জাতিক সূচি আছে সেগুলোকে ধরেই আমরা পরিকল্পনা করছি।’

এর বাইরে ঢাকার বাইরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট চালানোর জন্য যে সব মাঠ আছে, সেগুলোতে যে ধরনের কাজ প্রয়োজন বা ওই মাঠগুলোর যে সব অত্যাবশ্যকীয় চাহিদা আছে, তা পূরনের চেষ্টা করার কথাও বলেন নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন। তার কথা, আপনারা জানেন আমাদের মাননীয় সভাপতি বলেছেন ঢাকার বাইরে যে সমস্ত ভেন্যু আছে, ঘরোয়া ক্রিকেট, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট চালানোর জন্য যে মাঠগুলো আছে, সেগুলো যে ধরণের চাহিদা আছে আমরা পূরণের চেষ্টা করবো।’

এআরবি/আইএইচএস/

Advertisement