দেশজুড়ে

পেলেন মাত্র ২৬ ভোট, হারালেন জামানত

নেত্রকোনার খালিয়াজুরি উপজেলার চাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মাত্র ২৬ ভোট পেয়েছেন সূধন চন্দ্র সরকার নামে স্বতন্ত্র এক চেয়ারম্যান প্রার্থী। এ কারণে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। অবশ্য ভোট কম পাওয়ায় আরও দুই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

Advertisement

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৬ ডিসেম্বর চাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৫০১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল হুদা আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৪৪ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান রহমত আলী চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৭ ভোট, ফজলে কবীর ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩১১ ভোট ও সূধন চন্দ্র সরকার মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন মাত্র ২৬ ভোট।

ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম পারভেজ ইকবাল জাগো নিউজকে বলেন, ৯টি ওয়ার্ডের ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে তিনটি কেন্দ্র (দাউদপুর মুকিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফরিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চাকুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) সূধন চন্দ্র কোনো ভোট পাননি। অবশ্য তার নিজ কেন্দ্র শালদিঘা জিজি উচ্চ বিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ ১১ ভোট পেয়েছেন।

নির্বাচনী ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ জানতে চাইলে সূধন চন্দ্র সরকার জাগো নিউজকে বলেন, আমি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াইনি, ভোটের মাঠেও সরব ছিলাম। কিন্তু একটা মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে যে, আমি নির্বাচন থেকে সরে গেছি। যে কারণে আমার ভরাডুবি হয়েছে।

Advertisement

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, মোট বৈধ ভোটের শতকরা সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট না পেলে প্রার্থীর জামানত বাতিল হবে। চাকুয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী সূধন চন্দ্র সরকারসহ তিনজন সে অনুযায়ী কম ভোট পেয়েছেন। তাদের জামানত বাজায়েপ্ত হবে।

এইচ এম কামাল/এসজে/এএসএম