আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্র-ফ্রান্সে দৈনিক করোনা শনাক্তের নতুন রেকর্ড

মহামারি শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সে দৈনিক সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশ দুটিতে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর এ খবর এলো। খবর বিবিসির।

Advertisement

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটিতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয় চার লাখ ৪০ হাজার। যদিও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ক্রিসমাস উপলক্ষে রিপোর্ট দেরিতে আসায় এই সংখ্যা অতিরিক্ত হতে পারে।

এদিকে, ইউরোপে চরমে পৌঁছেছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপট। ফ্রান্সে ইউরোপের মধ্যে সর্বোচ্চ দৈনিক আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) দেশটিতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হন এক লাখ ৭০ হাজার ৮০৭ জন। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওলিভার ভেরান এর আগেই সতর্ক করে বলেছিলেন, জানুয়ারির শুরুতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

এ ছাড়া দেশটির হাসপাতালগুলোর সংগঠন ফ্রান্স হসপিটাল ফেডারেশন সতর্ক বলেছে, সবচেয়ে কঠিন সময় এখনো আসেনি। ফ্রান্সে বেশ কিছুদিন ধরে আক্রান্তের হার কম থাকলেও ৪ ডিসেম্বর থেকে ফ্রান্সে নতুন করে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে।

Advertisement

করোনা মোকাবিলায় গত শুক্রবার ফ্রান্সের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সুপারিশের মাধ্যমে জানায়, করোনার দুই ডোজ টিকা নেওয়ার তিন মাস পর প্রাপ্ত বয়স্করা যেন বুস্টার ডোজ নেন। ক্যাফে রেস্তোরাঁয় গেলে দেখাতে হবে হেলথ পাস। এ ছাড়া মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক তো রয়েছেই।

ইতালি, গ্রিস, পর্তুগাল এবং ইংল্যান্ড কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে, মঙ্গলবার দৈনিক রেকর্ড সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ওমিক্রনকে উচ্চ ঝুঁকি উল্লেখ করে সতর্ক করার পর এসব দেশ থেকে সংক্রমণ হার বাড়ার খবর আসছেই।

সংস্থাটির মঙ্গলবারের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইউরোপে করোনার সংক্রমণ হার ৫৭ শতাংশ এবং আমেরিকার অঞ্চলগুলোতে ৩০ শতাংশ বলে জানা যায়।

Advertisement

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশের হুবেই শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনা। কয়েক মাসের মধ্যেই ভাইরাসটি বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ছড়িয়ে পড়ে। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।

এরপর প্রায় ২ বছর সংক্রমণ বাড়া-কমার মধ্য দিয়ে যায় ভাইরাসটি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অব্যাহত টিকাদানের পর চলতি বছরের মাঝামাঝির দিকে তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তবে বছরের শেষ দিকে এসে হানা দিয়েছে করেনার নতুন ধরন ওমিক্রন। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন সর্বপ্রথম ধরা পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকায়। গত ২৪ নভেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিএইচও) বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববাসীকে। একই সঙ্গে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানায়।

এসএনআর/জেআইএম