করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনার বিভিন্ন রূপ একেক সময় আমাদের উপর আঘাত হানছে। এই কিছুদিন আগেই করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শেষ হতেই ওমিক্রন আঘাত হেনেছে।
Advertisement
এই ওমিক্রন ভাইরাসটির স্পাইক প্রোটিনে আছে অনেক মিউটেশন। এর কারণেই ভাইরাসটি হয়ে উঠেছে অনেক বেশি সংক্রামক। প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকায় খোঁজ পাওয়া গেলেও, এখন সমুদ্র পেরিয়ে ভারতেও চলে এসেছে ভাইরাসটি।
আর এ কারণে কপালে ভাঁজ পড়ছে সেখানকার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যত দ্রুত সম্ভব রোগ নির্ণয় করে রোগীকে আলাদা রাখতে হবে।
ওমিক্রনের লক্ষণ কী কী?
Advertisement
গবেষণা বলছে, ওমিক্রনের লক্ষণ আর প্রথম করোনা ভাইরাসের লক্ষণ প্রায় একই। তবে ওমিক্রনের ক্ষেত্রে ডেল্টার থেকেও দ্রুত শরীরে রোগ লক্ষণ ফুটে ওঠে।
এক্ষেত্রে শরীরে জীবাণু প্রবেশের ৪-৫ দিনের মধ্যেই দেখা দিতে পারে উপসর্গ। ওমিক্রনের ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে এসব লক্ষণ-
১. গলাব্যথা২. মাথাব্যথা৩. গায়েব্যথা৪. শুষ্ক কাশি৫. নাক বন্ধ৬. পিঠেব্যথা৭. দুর্বলতা৮. মাঝেমাঝে কাশি৯. স্বাদ, গন্ধ না থাকা।
তবে নতুন তথ্য বলছে, ওমিক্রনের একটি লক্ষণ কানেও শোনা যায়। ওমিক্রন আক্রান্ত বহু রোগীর গলায় ব্যথা হতে পারে। আবার ওমিক্রনে আক্রান্তদের গলার আওয়াজেও আসতে পারে পরিবর্তন, এমনটিই জানা গেছে।
Advertisement
এক্ষেত্রে গলার আওয়াজে পরিবর্তন হওয়া, গলা দিয়ে আওয়াজ না বের হওয়া, স্বর ভেঙে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনটি দেখলে কিংবা শুনলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
করোনা টেস্টও করিয়ে নিতেও ভুলবেন না। আপনার ওমিক্রন হলেও হতে পারে। আর আপনার কানও বুঝছে, আপনার এই সমস্যা হয়েছে।
ওমিক্রন প্রতিরোথে করণীয়?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ওমিক্রন থেকে মুক্তি পেতে মানতে হবে করোনাবিধি। এক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। তবে বর্তমানে মানুষের মধ্যে মাস্ক পরার বিষয়ে উদাসীনতা তৈরি হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন এভাবে চলতে থাকলে কয়েকদিনের মধ্যেই বিপদ আরও বাড়তে পারে। তখন অবস্থা সামলানো হবে ভীষণই কঠিন হয়ে পড়বে।
মাস্ক পরার পাশাপাশি অবশ্যই হাত ধুতে ও স্যানিটাইজার মাখতে হবে। শারীরিক দূরত্বও বজায় রাখুন। তবেই ওমিক্রন থেকে নিজেকে ও পরিবারকে বাঁচাতে পারেন।
সূত্র: ডেইলি রেকর্ড ইউকে/টাইমস নাউ নিউজ/স্কটসম্যান
জেএমএস/জেআইএম