শিক্ষা

দাবি আদায়ে কঠোর কর্মসূচির হুমকি প্রাথমিক শিক্ষকদের

টাইমস্কেল বহাল, ৫০ শতাংশ জ্যেষ্ঠতা নির্ণয় ও সিনিয়র শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মহাসমাবেশ করছেন জাতীয়করণ হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

Advertisement

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় দুই হাজার শিক্ষক মহাসমাবেশে অংশ নেন।

সমাবেশে শিক্ষক নেতারা বলেন, দাবি মানা না হলে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলবে আন্দোলন। দীর্ঘদিন ধরে এ দাবিতে আন্দোলন করলেও যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। বর্তমানে আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে বলে সারাদেশ থেকে শিক্ষকরা একত্রিত হয়ে মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছেন।

জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোটের তিন দাবির মধ্যে রয়েছে- প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের টাইম স্কেল বহাল রাখা, জাতীয়করণ-২০১৩ নীতিমালা অনুযায়ী ৫০ শতাংশ শিক্ষককে জ্যেষ্ঠতা দেওয়া ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে পদোন্নতি পাওয়া প্রধান শিক্ষকদের গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করা।

Advertisement

সমাবেশে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষক মহাজোটের আহ্বায়ক মো. আমিনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আমাদের চাকরিজীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। শিক্ষকদের টাইমস্কেল কাটা ও জ্যেষ্ঠতার তালিকা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা চাই, দাবিগুলো বাস্তবায়নে দ্রুত সরকারি সিদ্ধান্ত আসুক।

মহাজোটের প্রধান সমন্বয়ক আব্দুর রহমান বাচ্চু বলেন, আমাদের মহাসমাবেশের মূল উদ্দেশ্য তিনটি দাবি বাস্তবায়ন করা। সরকার দাবি মেনে নিলে তবেই আমরা ঘরে ফিরবো। আমরা সুস্থভাবে ঘরে ফিরে যেতে চাই।

তিনি বলেন, আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত মহাসমাবেশ চলবে। এর মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস পাওয়া না গেলে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা করা হবে। সারাদেশে একযোগে এ আন্দোলন চালিয়ে নেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।

২০১৩ সালে বেসরকারি ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করে সরকার। এরপর থেকেই সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসছিলেন শিক্ষকরা। কিন্তু বিপত্তি বাধে আট বছর পর। সর্বশেষ ২০২০ সালে অর্থ মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করে। সেখানে টাইমস্কেল বাতিল করতে বলা হয়।

Advertisement

এমএইচএম/জেডএইচ/এএসএম