খেলাধুলা

স্টোকসের রেকর্ডে রানের পাহাড়ে ইংল্যান্ড

ক্রিকেট এ কারণেই গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা। টেস্ট ক্রিকেটে তো সেই অনিশ্চয়তা যেন প্রতিটি পরতে পরতে। কেপটাউন টেস্টে সেই অনিশ্চয়তার সবচেয়ে বড় বলি হচ্ছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। যে দলটির ওপর প্রোটিয়া পেসাররা সবেমাত্র প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছিল, সেটাকে এক নিমিষে উড়িয়ে দিলেন বেন স্টোকস আর জনি ব্যারেস্ট। ২২৩ রানে ৫ম উইকেটের পর ৬ষ্ঠ উইকেট পতন ঘটতে মাঝে বিরতি দিয়েছিল ৩৯৯ রান। বিশাল এই জুটির বিরতিতে ইংল্যান্ডের রান গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬২২ রানের বিশাল পাহাড়ে।তবে এখানেই যদি থেমে থাকতো এই ইনিংসের মাহাত্ম্য, ততে তাতেও হয়তো স্বান্তনা খুঁজতে পারতো প্রোটিয়া বোলাররা। কারণ, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন যে ইংলিশ ব্যাটসম্যান বেন স্টোকস!৬ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে রীতিমত ঝড় বইয়ে দিয়েছেন দক্ষিন আফ্রিকা বোলারদের ওপর। ১৬৩ বলেই পূরণ করে ফেলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি। কেপটাউনে খেলতে নামার আগে স্টোকসের নামের পাশে ছিল মাত্র ২০টি টেস্ট। তাতে ২টি সেঞ্চুরি এবং সর্বোচ্চ রান ছিল ১২০। নিউল্যান্ডসে নিজেকে তো ছাড়িয়ে গিয়েছেনই। একই সঙ্গে বইয়ে দিয়েছেন রেকর্ডের বন্যা। তবে স্টোকস আফসোস করতে পারেন একটা বিষয়ে। আর ১০টা বল কম খেলে ডাবল সেঞ্চুরিটা যদি করতে পারতেন, তাহলে ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম ব্যাটসম্যান হিসেবে রেকর্ডের পাতায় নাম লিখিয়ে ফেলতে পারতেন তিনি। কারণ, নিউজিল্যান্ডের নাথান অ্যাস্টল ১৫৩ বলে করেছিলেন সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরিটি। ১৬৩ বলে করেন বেন স্টোকস। শেষ পর্যন্ত ১৯৮ বলে ২৫৮ রানের ইনিংস খেলে রানআউট হয়ে যান এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। বেন স্টোকসের সঙ্গে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে যান জনি ব্যারেস্ট। শুধু সেঞ্চুরিই নয়, ১৫০ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন তিনি।বেন স্টোকস আর জনি ব্যারেস্ট মিলে ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে গড়ে ফেললেন ৩৯৯ রানের জুটি। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ৬ষ্ঠ উইকেটে এটাও একটা রেকর্ড। এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিজে ওয়াটলিং আর কেনে উইলিয়ামসন মিলে গড়েছিলেন সর্বোচ্চ ৩৬৫ রানের জুটি। ওটাই এবার ভেঙে দিলেন দুই ইংলিশ ব্যাটসম্যান। ৬ষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করা প্রথম ইংলিশ ব্যাটসম্যান স্টোকস। তবে ক্রিকেটের ইতিহাসে ১০ম ব্যাটসম্যান তিনি। ২২৩ রানে ৫ম উইকেট পড়ার পর প্রথম দিনই জুটি বাধেন স্টোকস আর ব্যারেস্ট। দিন শেষে ৭৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ব্যারেস্ট্র ছিলেন ৩৯ রানে অপরাজিত। দ্বিতীয় দিন সকালেই ১৩০ রান করে ফেলেন স্টোকস।১০৫ বলে পূরণ করেন সেঞ্চুরি। এরপর ১৬৩ বলে পূরণ করেন ডাবল সেঞ্চুরি। অথ্যাৎ ১০০ থেকে ২০০ রানে পৌঁছাতে স্টোকস বল ব্যায় করেছেন মাত্র ৫৮টি। ৬২২ রানের চূড়ায় ওঠার পর রান আউট হয়ে গেলে, তখনই ইংলিশ অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক ইনিংস ঘোষণার চিন্তা করেন। অবশেষে ৬২৯ রানে পৌঁছার পর ইনিংস ঘোষণা করে দেন তিনি। ১২৫.৫ ওভার ব্যাট করে ৪.৯৯ গড়ে এই স্কোর গড়ে তোলেন তারা।তবে জবাব দিতে নেমে শুরুতেই বিপদে দক্ষিণ আফ্রিকা। মাত্র ৪ রান করার পর রানআউট হয়ে গেলেন ওপেনার স্টিয়ান ফন জিল। দলীয় রান ছিল তখন ৭। এ রিপোর্ট লেখার সময় দক্ষিণ আফ্রিকার রান ১ উইকেটে ৩৯। ক্রিজে রয়েছেন ডিন এলগার এবং হাশিম আমলা। আইএইচএস/আরআইপি

Advertisement