ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের ৫০ লাখ এবং আহতদের ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা রিট আবেদনের বিষয়ে শুনানি আজ।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানির জন্য রিটটি (কজলিস্ট) কার্য তালিকায় রয়েছে।
জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইউনুছ আলী আকন্দ।
এর আগে রোববার (২৬ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ এই রিটটি করেন।
Advertisement
তিনি জানান, ঢাকা থেকে বরগুনাগামী লঞ্চটিতে আগুনে মৃত ব্যক্তিদের জন্য ৫০ লাখ এবং গুরুতর আহত ব্যক্তিদের ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। তাদের কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না সেই মর্মে রুল জারির আর্জিও জানানো হয়। একইসঙ্গে নিহতদের পরিবারকে তাৎক্ষণিক ১০ লাখ টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্যে পাঁচ লাখ টাকা দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে বিচারিক অনুসন্ধানের জন্য কমিশন গঠনের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে রিটে।
রিটে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিআইডব্লিওটিএর চেয়ারম্যান এবং লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখকে বিবাদী করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে লঞ্চটিতে আগুনের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।
Advertisement
এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন শতাধিক। আগুনে দগ্ধ ৮১ জনের মধ্যে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৪৬ জন। ২২ জনকে পাঠানো হয়েছে ঢাকায়। আর ১৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে পুড়ে যাওয়া লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিল তার সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
বিআইডব্লিউটিএ থেকে জানানো হয়েছে, লঞ্চটিতে প্রায় ৪০০ যাত্রী ছিল। এ ঘটনায় ঝালকাঠি সদর থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন গ্রামপুলিশের এক সদস্য।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান জানান, পোনাবালিয়ার গ্রামপুলিশ জাহাঙ্গীর হোসেন অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।
এফএইচ/জেডএইচ/জেআইএম