করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রণের কারণে বিভিন্ন দেশেই নতুন করে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যেই বিভিন্ন দেশ নতুন করে কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউনে ফিরতে শুরু করেছে। এবার ফ্রান্সেও কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
Advertisement
আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে নতুন বিধিনিষেধ কার্যকর হবে। যাদের পক্ষে সম্ভব তাদের বাড়িতে বসেই কাজ করতে হবে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ যে কোনো অনুষ্ঠানে দুই হাজার মানুষ একত্রিত হতে পারবেন। এর বেশি মানুষ কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে।
শনিবার দেশটিতে এক লাখের বেশি সংক্রমণ শনাক্ত হয়, যা সংক্রমণের নতুন রেকর্ড। এমনকি দেশটিতে করোনা মহামারি শুরুর পর একদিনে এটাই সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা। এতে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় কর্তৃপক্ষ কঠোর বিধিনিষেধের ঘোষণা দিলো।
তবে নববর্ষের আগের দিন কারফিউ কার্যকর থাকবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জিন ক্যাসটেক্স। তিনি বলেন, এই মহামারিকে মনে হচ্ছে শেষ না হওয়া কোনো একটি সিনেমা। মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি নতুন বিধিনিষেধ সম্পর্কে ঘোষণা দেন।
Advertisement
এদিকে ফ্রান্সের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভিয়ার ভেরান বলেন, প্রতি দুই দিনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্বিগুণ হচ্ছে। সংক্রমণের নতুন ঢেউ সম্পর্কেও সতর্ক করেছেন তিনি।
ঘরের বাইরে জনসমাগমের ক্ষেত্রে নতুন বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। যে কোনো স্থানে ৫ হাজার মানুষ সমবেত হতে পারবেন বলে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নাইটক্লাব বন্ধ থাকবে। অপরদিকে ক্যাফে এবং বারে শুধু টেবিল সার্ভিস দেওয়া যাবে। শহরের বিভিন্ন কেন্দ্রে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
তবে পুরোপুরি লকডাউনের বিষয়ে একমত নন প্রধানমন্ত্রী ক্যাসটেক্স। বিভিন্ন স্কুল খোলা রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।
Advertisement
দেশটিতে সোমবার ১ হাজার ৬শর বেশি করোনা রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যা নতুন রেকর্ড। জার্মানি এবং গ্রিসেও নতুন করে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে।
টিটিএন/জেআইএম