গত কয়েকদিন ধরেই দেশের ক্রিকেটে জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে বাঁহাতি টপঅর্ডার ব্যাটার ইমরুল কায়েসের নাম। ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল জানিয়েছেন ইমরুলকে দলে প্রয়োজন তার। বিপরীতে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, পারফর্ম করেই দলে আসতে হবে ইমরুলকে।
Advertisement
কিন্তু সেই পারফরম্যান্সটাই করা হচ্ছে না ইমরুলের। চলতি বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) কথা বলছে না ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোনের এই ওপেনারের ব্যাট। আজ (রোববার) বিসিএলের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৫ রানেই আউট হয়ে গেছেন এ বাঁহাতি ওপেনার।
তবে ইমরুলের সতীর্থ ওপেনার মোহাম্মদ আশরাফুল খেলেছেন ৭০ রানের ইনিংস। অবশ্য এতেও কোনো কাজ হয়নি। বিসিবি নর্থ জোনের বোলারদের তোপে মাত্র ১৬৬ রানেই গুটিয়ে গেছে ইস্ট জোন। বাঁহাতি পেসার শফিকুল ইসলাম নিয়েছেন ৫ উইকেট।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নর্থ জোন। অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুবের সিদ্ধান্ত যথাযথ প্রমাণ করতে সময় নেননি শফিকুল। ইনিংসের পাঁচ ওভারের মধ্যে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক ইমরুল (৫), অভিজ্ঞ শামসুর শুভ (০) ও তরুণ শাহাদাত হোসেন দীপুকে (০) সাজঘরে পাঠান তিনি।
Advertisement
বিসিএলের প্রথম দুই রাউন্ডের ম্যাচে ইমরুলের চার ইনিংস ছিল ৪৬, ৩৯, ৩২ ও ৫ রানের। এবার তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে তিনি ফিরলেন ৫ রান করে। অর্থাৎ ধারাবাহিকভাবে উন্নতি হওয়ার বদলে ক্রমেই অবনতি ঘটেছে ইমরুলের পারফরম্যান্সের।
এরপর চতুর্থ উইকেটে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন আফিফ হোসেন ধ্রুব ও আশরাফুল। এই জুটিতে আসে ৫৫ রান। ইনিংসের ২৩তম ওভারে আফিফকে বোল্ড করে শফিকুলই ভাঙেন জুটি। আউট হওয়ার আগে ৪ চার ও ১ ছয়ের মারে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেছেন তরুণ বাঁহাতি আফিফ।
তবে অপর প্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন আশরাফুল। মাহমুদুল হাসান ৫ রান করে আউট হওয়ার পর উইকেটরক্ষক প্রীতম কুমারের (২৬) সঙ্গে আশরাফুলের জুটি হয় ৪৭ রানের। এরপর নাইম হাসানকে (১৫) নিয়ে যোগ করেন ৩৭ রান। এরই মাঝে তুলে নেন প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের ৩৯তম ফিফটি।
চলতি বিসিএলে প্রথম ইনিংসেই ৬১ রান করেছিলেন আশরাফুল। এরপর তিন ইনিংসে করেন ২৫, ০ ও ১৬ রান। তিন ইনিংসের ব্যর্থতা ঝেড়ে এবার তার ব্যাট থেকে আসে ৭০ রানের ইনিংস। ৫৩তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ১৬০ বলের ইনিংসে ৯ চার ও ১ ছক্কা হাঁকান ইস্ট জোনের ওপেনার।
Advertisement
সপ্তম ব্যাটার হিসেবে আশরাফুল আউট হওয়ার পর আর মাত্র ৪ রান যোগ করতেই অলআউট হয়ে যায় ইস্ট জোন। শফিকুলের ৫ উইকেট ছাড়াও সানজামুল ইসলাম নেন ৩টি, বাকি ২ উইকেট যায় মোহাম্মদ শরিফউল্লাহর ঝুলিতে।
এসএএস/জেআইএম