জ্বালানি তেলের উচ্চদাম থেকে মুনাফা নিয়ে সরকার নিশ্বাস নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। সেই সঙ্গে তিনি সাধারণ মানুষকে নিশ্বাস নিতে দেয়ার কথাও বলেন। রোববার রাজধানী ব্র্যাক সেন্টারে চলতি ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের প্রথম ৬ মাসের পর্যালোচনা প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। তেলের দাম কত শতাংশ কমানো উচিত এমন প্রশ্নে জবাবে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, এটি যৌক্তিক পর্যায়ে আনা যেতে পারে। তবে একেবারে সম্বনয় করার কথা আমরা বলছি না। তবে ডিজেল ও ফার্নেস ওয়েলে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতিবেদন উপস্থাপন কালে সংস্থাটির গবেষণা ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক বাজারে তেলে দাম কম। আমরা বারবার এটি সম্বনয়ের কথা বলছি। আমরা মনে করি, সহসা তেলের দাম আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই। তাই এটি সরকার সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারে।তিনি বলেন, তেলের দাম থেকে সরকার বেশ মুনাফা করেছে। মুনাফার অর্থ সরকার কিভাবে ব্যবহার করছে তা স্পষ্ট নয়। এটি কি দায় পরিশোধে যাচ্ছে কিনা তা দেখার বিষয়। এসময় সিপিডি নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা শুধু তেল নয়, একই সঙ্গে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম চিন্তা করে সম্বনিত মূল্য নির্ধারণের তাগিদ দিচ্ছি।তিনি বলেন, আমরা হিসাব করে দেখেছি, তেলের দাম কমালে প্রবৃদ্ধি বাড়বে। মূল্যস্ফীতি আরো কমবে। যদিও সার্বিক মূল্যস্ফীতি সহনীয়। কিন্তু দেখতে হবে, খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে বাড়ছে। সিপিডির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে গ্যাস তলানিতে ঠেকবে। এখনই উচিত সরকারের কয়লা ভিত্তিক প্রকল্পে গুরুত্ব দেয়া। কিন্তু সরকার বিষয়টি বার বার বললেও অগ্রগতি নেই। তাছাড়া নতুন গ্যাস ক্ষেত্রে খুজে বের করার সাফল্য নেই। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিদ্যুৎ আমদানি সরকারের ভালো দিক। কিন্তু পরিবহন অপচয় কমাতে হবে। তবে একই সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা আরো বাড়তে হবে। অনেক বিদ্যুৎ কেন্দ্র খুড়িয়ে চলছে। এগুলো সংস্কার করতে হবে।এসএ/এসকেডি/এমএস
Advertisement