ইঞ্জিন রুম থেকেই এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক তদন্তে এ বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও যুগ্মসচিব মো. তোফায়েল ইসলাম।
Advertisement
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে তিনি জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। এখন পর্যন্ত লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ দুর্ঘটনা তদন্তে ২৪ ডিসেম্বর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ) তোফায়ের ইসলামকে প্রধান করে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। প্রতিবেদন দাখিলে কমিটিকে তিন কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন বরিশাল অঞ্চলের নৌপুলিশের পুলিশ সুপার মো. কফিল উদ্দিন, ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. নাজমুল আলম, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার তাইফুর রহমান ভূঁইয়া, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মো. কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাপ) সংস্থার পরিচালক মামুন-অর-রশিদ। কমিটিতে সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) অতিরিক্ত পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম।
তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে রোববার সকালে কমিটির আহ্বায়ক তোফায়েল ইসলাম বলেন, ‘তদন্তের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আমরা দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজটি দেখেছি। এখন আমরা তদন্ত টিম নিয়ে আছি বরগুনায়। জাহাজটি আসার কথা ছিল বরগুনায়, তাই যাত্রীদের বেশিরভাগই ছিলেন বরগুনার। বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা বরগুনায় চলে এসেছেন। আমরা প্রত্যক্ষদর্শী লঞ্চের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলবো।’
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে আমরা মোটামুটিভাবে যেটা বুঝছি, সাসপেক্ট করা হচ্ছে ইঞ্জিন রুমে কিছু একটা ছিল। অগ্নিকাণ্ডের শুরু হয়েছিল ইঞ্জিন রুম থেকেই- প্রাথমিকভাবে সেটাই মনে হচ্ছে।’
যুগ্মসচিব বলেন, ‘কারও কোনো গাফিলতি ছিল না, কোনো ধরনের অনিয়ম ছিল কি না- সবকিছুই আমরা দেখছি। গাফিলতি-অনিয়ম তো কিছু ছিলই। সেটা কার কতটুকু, কীভাবে হয়েছে তা দেখছি। আমরা কমিটি বসে সবকিছুই চিহ্নিত করবো।’
Advertisement
প্রজ্ঞাপনে কমিটিকে দুর্ঘটনাস্থল এবং দুর্ঘটনাকবলিত নৌযান পরিদর্শন করে ‘বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল অধ্যাদেশ-১৯৭৬’ এর ৪৫নং ধারার ৩নং উপধারায় দেওয়া ক্ষমতাবলে দুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটন এবং দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তি বা সংস্থাকে শনাক্ত করার কথা বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণ উল্লেখ করে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ দিতে হবে কমিটিকে।
আরএমএম/ইএ/এমএস