ঝালকাঠিতে সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২২ জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এসেছেন। তাদের মধ্যে চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে পাঁচজনকে।
Advertisement
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) আব্দুল সাত্তার (৩৮) নামের আরও একজন এখানে আসেন। তবে তাকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইউব হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত ২২ জন এখানে এসেছেন। পাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই শঙ্কামুক্ত।
তিনি আরও জানান, আগুনের ঘটনায় আহত বিকাশ মজুমদারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া হাবিব খান (৪৫) নামে একজন মারা গেছেন। আর শাহিনুর, মনিকা রানী ও মারুফা আক্তার এই তিনজনকে নেওয়া হয়েছে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ)। এছাড়া মা ও ছেলে জেসমিন আক্তার এবং তামিম হাসানকে হাই ডিসেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) দেওয়া হয়েছে। ১০ জনকে নেওয়া হয়েছে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে।
Advertisement
এদিকে সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ভর্তি হওয়া প্রত্যেকের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। আইসিইউতে থাকা একজনের শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। অন্যদের শরীরও ৫-৩০ শতাংশ পর্যন্ত দগ্ধ।
তিনি বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হওয়া আরও ৩২ জন রোগী বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটিতে আগুন লাগে। এতে এখন পর্যন্ত ৪১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন শতাধিক।
জেডএইচ/জেআইএম
Advertisement