শুক্রবার নেপালের বিপক্ষে তিন নম্বরে নেমে ঝড়ো সেঞ্চুরি করেছিলেন বাঁহাতি প্রান্তিক নওরোজ নাবিল। আজ (শনিবার) তাকে নামানো হলো সাত নম্বরে, আউট হয়ে যান মাত্র ৫ রান করে। তবে এতে কোনো সমস্যাই হয়নি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের।
Advertisement
আজ কুয়েতের বিপক্ষে যুব এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ডানহাতি ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম রবিন। নিচের দিকে ঝড় তুলেছেন এসএম মেহরব। যার সুবাদে এবার বাংলাদেশের যুবাদের সংগ্রহ ৪৯.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল কুয়েত। শুরু থেকেই একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলে তিন অঙ্কে পৌঁছে যান মাহফিজুল। আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১১৯ বলে ১১২ রানের ইনিংস। আর শেষ দিকে ২৪ বলে ৪২ রানের ঝড় তোলেন মেহরব।
বাংলাদেশের যুবাদের শুরুটা এতো ভালো ছিল না। প্রতিপক্ষের আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারের শেষ বলে দলের ৩ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরে যান ২ রান করা ইফতিখার হোসেন ইফতি। দ্বিতীয় উইকেটে ৮৪ রান যোগ করেন মাহফিজুল ও আইচ মোল্লা।
Advertisement
চাপ সামলে জুটি গড়ে সেটিকে আরও বড় করার আগেই ৩৯ বলে ২০ রান করে ফিরে যান আইচ। ততক্ষণে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন মাহফিজুল। কিন্তু অপরপ্রান্ত থেকে সমর্থন পাচ্ছিলেন না তিনি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে আরিফুল ইসলাম ৫৩ ও চতুর্থ উইকেটে তাহজিবুলকে নিয়ে যোগ করেন ৪৪ রান।
ভালো শুরুর পর ইনিংস বড় করতে না পারায় ব্যর্থতায় পড়েন আরিফুল (২৪ বলে ২৩) ও তাহজিবুল (১৯ বলে ২৫)। ইনিংসের ৩২তম ওভারে ১০৭ বল খেলে ১২ চার ও তিন ছয়ের মারে সেঞ্চুরি পূরণ করেন মাহফিজুল। এরপর হাঁকান আরও একটি ছক্কা।
তবে দলীয় দুইশ পূরণ হওয়ার আগেই মোহাম্মদ উমরের বলে ক্যাচ আউট হন আজকের সেঞ্চুরিয়ান। তার ব্যাট থেকে আসে ১২ চার ও ৪ ছয়ের মারে ১১২ রানের ইনিংস। মাহফিজুল যখন ফিরে যান তখন বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৩৫.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৭ রান।
এক ওভার পরই বিদায় নেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান প্রান্তিক নওরোজ নাবিল। এরপর বাকি দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেন দলটির সাবেক অধিনায়ক মেহরব ও বর্তমান অধিনায়ক রাকিবুল হাসান। মেহরব ২৪ বলে ৪২ ও রাকিবুল ২১ বলে ২১ রান করলে তিনশ ছুঁইছুঁই সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
Advertisement
কুয়েতের পক্ষে ম্যাচটিতে বল হাতে হাত ঘুরিয়েছেন নয় জন বোলার। সবচেয়ে বেশি তিন উইকেট নেন আব্দুল সাদিক। এছাড়া মোহাম্মদ উমর ও হেনরি থমাস নেন দুইটি করে উইকেট।
এসএএস/এএসএম