উচ্চতর শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণে শিগগিরই অ্যাক্রিডিটেশন আইন চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। রোববার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল আইন ২০১৫ চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে একটি খসড়া আইনের উপর বিশেষজ্ঞদেন পরামর্শ গ্রহণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অভিজ্ঞ বিশেজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে অ্যাক্রিডিটেশ কাউন্সিল আইন ২০১৫ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। এ খসড়াটি শিগগিরই চূড়ান্ত আইনে রুপান্তর হবে। এ আইনটি সরকারি এবং বেসরকারি সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে জন্য উচ্চশিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে।আইনের ফলে দেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো বৈষ্যম্য থাকবে না উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশে মোট ১২৭টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে পাবলিক ৩৮টি এবং প্রাইভেট ৮৯টি। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬৩২ জন বিদেশি ছাত্র পড়ালেখা করছে।তিনি জানান, প্রতি বছর সরকার মোট ১০ লাখ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। যা আমাদের শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করছে। জ্ঞান শিক্ষার পাশাপাশি ছাত্রদেরকে নৈতিক শিক্ষা, দেশপ্রেম এবং প্রকৃত মানুষ তৈরিতে ভূমিকা রাখার জন্য শিক্ষকদের আহ্বান জানান তিনি।পাবলিক বিশ্ববিদ্যালযের শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা শিক্ষকদের দাবির পক্ষে। খুব শিগগিরই আলোচার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হবে ।বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অ্যধাপক আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা সচিব মো. সৌরাভ হোসাইন।কর্মশালায় ইউনিভারসিটি অব অলটারনেটিভ ডেভলাপমেন্টের (ইউডা) ভিসি ড. এমাজউদ্দিন আহম্মেদ, ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনির্ভাসিটির ভিসি ড. ফরাশউদ্দিন আহাম্মেদ, এশিয়া প্যাসিফিক এর ভিসি জামিলুর রেজা চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুননবীসহ দেশের সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের পরিচালনা পষর্দের সদস্য, অধ্যাপক, অধ্যক্ষ, এবং দেশের প্রথিতযশা শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল আইন ২০১৫ এর উপর তাদের মূল্যবান পরামর্শ প্রদান করেন।অ্যক্রিডিটেশন কাউন্সির এর বিষয়টি শুধুমাত্র বেসরকারি আইনে উল্লেখ থাকলেও পরবর্তীতে সরকার এ বিষয়টিকে সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। এরই আলোকে দীর্ঘ ১২ বছর আলোচনা এবং পর্যালচনার পর এ খসড়াটি চূড়ান্ত করা হয়।অ্যক্রিডেটেশন আইনে বলা হয়, মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, এগ্রিকালচার, বিজনেস, আইন, সোস্যাল সায়েন্স, আর্টস, বায়োলজিক্যাল সায়েন্স, ফিজিক্যাল সায়েন্স, ইত্যাদি বৃহত্তর ডিসিপ্লিনের জন্য আলাদা আলাদা অ্যাক্রিডেটেশন কমিটি থাকবে।এ আইনের মাধ্যমে শর্ত ভঙ্গের জন্য ক্ষেত্রবিশেষ দোষ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অনধিক ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান এর কথা বলা হয়েছে।এএম/এসকেডি/এমএস
Advertisement