টিভি খাবার তৈরি দেখছেন কিংবা সুস্বাদু খাবারের রিভিউ। দেখতে দেখতে জিভে জল এসে গেছে আপনার। তবে উপায় নেই। সেই জল আপনাকে সংবরণ করতেই হবে। হয় অনলাইনে অর্ডার দিয়ে না হয় বাড়িতে তৈরি করে সেই খাবারের স্বাদ নিতে হবে আপনাকে।
Advertisement
তবে এবার আর এতো কষ্ট পোহাতে হবে না। টিভি স্ত্রিন চেটেই খাবারের স্বাদ নিতে পারবেন। অবাক হলেও এমনই এক অভিনব টিভি পর্দা বানিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন জাপানের এক বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক। পর্দায় দেখানো খাবারের স্বাদ পাওয়া যাবে ওই ‘টেস্ট-দ্য-টিভি’র পর্দা চেটে। আর টেলিভিশনের পর্দা চাটার বিষয়টি যেন স্বাস্থ্যঝুঁকি হয়ে না দাঁড়ায়, সেজন্য পর্দারে উপর রয়েছে ‘স্বাস্থ্যসম্মত ফিল্ম’।
যদিও ওই টিভি এখনো বানিজ্যিকভাবে বাজারে আসেনি। জানা গেছে, ওই বিশেষ ধরনের টিভি স্ক্রিনে জিভ ঠেকালেই বুঝতে পারবেন সেই খাবারের স্বাদ কেমন। মূলত রাঁধুনিদের ট্রেনিং দিতে এই টিভি স্ত্রিনটি আবিষ্কার করা হয়েছে। বর্তমানে সেটির দাম রাখা হয়েছে ৮৭৫ মার্কিন ডলার। আবিষ্কারক হোমেই মিয়াসিতা মেইজি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
টেলিভিশন পর্দায় খাবারের স্বাদ আসে ১০টি ক্যানিস্টার থেকে। সেখান থেকে বিভিন্ন স্বাদের তরল স্প্রে করে ছড়িয়ে দেওয়া হয় টিভি পর্দার উপরে থাকা স্বাস্থ্যসম্মত ফিল্মের উপর। তবে হোমেই মিয়াসিতার মতে, শিক্ষানবিশ রাঁধুনী বা তরল পানীয় বিশেষজ্ঞদের দূর প্রশিক্ষণে ব্যবহার করা যেতে পারে এই প্রযুক্তি।
Advertisement
মিয়াশিতা রয়টার্সকে বলেছেন, তার লক্ষ্য হচ্ছে ঘরে বসে পৃথিবীর আরেক প্রান্ত থেকে খাবার খাওয়ার মতো অভিজ্ঞতাকে সম্ভব করা। কেননা করোনাকালে মানুষ ঘরবন্দি সময়ে রেস্তোরাঁর খাবারের স্বাদ থেকে বঞ্চিত ছিল অনেকদিন। এখন এই স্ক্রিনের মাধ্যমে খুব সহজেই ঘরে থেকে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের রেস্তোরাঁর খাবারের স্বাদ নিতে পারবেন।
সংবাদকর্মীদের সামনে নিজের উদ্ভাবনের কার্যক্ষমতার প্রায়োগিক প্রমাণও দিয়েছেন মিয়াশিতার শিক্ষার্থীরা। যন্ত্রটিকে “মিষ্টি চকলেট” খেতে চান বলে জানান এক শিক্ষার্থী। কয়েকবারের চেষ্টার পর ওই শিক্ষার্থীর ইচ্ছা অনুযায়ী স্বাদ স্প্রে ছড়িয়ে যায় পর্দার উপরে থাকা ‘স্বাস্থ্যসম্মত’ প্লাস্টিক ফিল্মে। শিক্ষার্থী পর্দা চেটে জানান, এটার স্বাদ মিল্ক চকলেটের মতো”, এমনটাই জানাচ্ছে বিভিন্ন সূত্র।
তবে এবারই খাবার বা স্বাদ নিয়ে অধ্যাপক মিয়াশিতা ও তার শিক্ষার্থীদের প্রথম উদ্ভাবন নয়। এর আগে তারা খাবারের স্বাদ আরও বাড়িয়ে দেয় এমন কাঁটাচামচ উদ্ভাবন করেছিলেন।
অধ্যাপক মিয়াশিতা স্বপ্ন দেখছেন ‘ডাউনলোডএবল টেস্ট কনটেন্ট’-এর। চলতি কোভিড মহামারির যুগে মানুষের একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগের প্রক্রিয়ার এই ধরনের প্রযুক্তির নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করছেন তিনি।
Advertisement
সূত্র: রয়টার্স
কেএসকে/এমএস