২০১৫ সালে ২০ লাখ ২৪ হাজার কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ে রেকর্ড করেছে দেশের সবচেয়ে বড় সদুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এ বছর প্রায় ১৭% কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং গ্রোথ করেছে বন্দরটি।এই সফলতায় রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ‘সাফল্য সনদ হস্তান্তর ও সংবাদ সম্মেলন’ এর আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ২০০৬-০৭ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত বন্দরের সফলতা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন দেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (এডমিন) জাফর আলম। তিনি জানান, গত ৫ বছরের ব্যবধানে বন্দরে ৫ টি বার্থ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ১ বছরে প্রায় ৩ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের ফরকাস্ট অনুযায়ী, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে ২০ লাখ ৬ হাজার কন্টেইনার হ্যান্ডেলের সক্ষমতা অর্জনের কথা বলা হয়েছিল। তবে এর এক বছর আগেই চট্টগ্রাম বন্দর ২০ লাখ ২৪ হাজার কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং করেছে।২০০৬ সালে একটি কন্টেইনার প্রায় ২৬ দিন বন্দরে অবস্থান করতো। তবে বর্তমানে ১০ দিনেই তারা বন্দর থেকে চলে যাচ্ছে। কন্টেইনার যতবেশি মুভ করবে দেশের ততবেশি উনয়ন হবে বলে জানান জাফর আলম। কন্টেইনারের পাশাপাশি প্রায় ৬ কোটি কার্গো হ্যান্ডেলিংয়েরও রেকর্ড করেছে চট্টগ্রাম বন্দর।অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর এক বছর আগেই তার লক্ষ্যে পৌঁছেছে। বন্দরের এমন সাফল্যে ২০২১ সালের আগেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ।এসময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায় বলেন, মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করলে পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত বন্দরগুলোর মধ্যে একটি হবে।এসময় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মাসিক ‘বন্দর বার্তা’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য এম আব্দুল লতিফ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ (ট্যাজ)।এআর/এসকেডি/এমএস
Advertisement