লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪১ জনের মধ্যে ৩৭ জনই বরগুনার বাসিন্দা। ওই ৩৭টি মরদেহ এসে পৌঁছেছে বরগুনায়। এরমধ্য থেকে পাঁচজনকে শনাক্ত করে নিয়ে গেছেন স্বজনরা। পড়ে আছে এখনও ৩২টি মরদেহ।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয় যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০। এটি ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশে আসছিলো।
লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪১ জনের মধ্যে ৩৭ জনই বরগুনার বিভিন্ন যায়গার বাসিন্দা বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঝালকাঠি থেকেই বরগুনার চারটি মরদেহ শনাক্ত করে নিয়ে যান স্বজনরা। পরে শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে ঝালকাঠি থেকে ৩৩টি মরদেহ বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরপর সদর উপজেলার নলটোনা গ্রামের এক যাত্রীর মরদেহ শনাক্ত করে নিয়ে যান স্বজনরা।
Advertisement
বাকি ৩২টি মরদেহ স্বজনদের অপেক্ষায় নিথর পড়ে আছে বরগুনা সদর হাসপাতালে। সকাল হলেই আসবে স্বজনরা, মরদেহ শনাক্ত করতে পারলে নিয়ে যাবে বাড়িতে। আর বেওয়ারিশ পড়ে থাকা মরদেহগুলোকে গোসল, জানাজা শেষে প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে দাফন করা হবে।
বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, অভিযান-১০ ট্র্যাজেডিতে নিহত এবং আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই বরগুনার নাগরিক। এখন পর্যন্ত বরগুনা হাসপাতালে ৩২টি মরদেহ আছে। কেউ যদি শনাক্ত করতে পারে তাহলে হস্তান্তর করা হবে। বাকিগুলো শনিবার দুপুর ১২টার পরে ঢলুয়া গ্রামের একটা খোলা জায়গায় দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ২৫ হাজার এবং আহতদেরকে ১৫ হাজার টাকা করে সহায়তা প্রদান করেছে বরগুনা জেলা প্রশাসন।
এফএ/এমএস
Advertisement