ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ বোন, দুলাভাই ও ভাগ্নিকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে ঢাকায় আনতে ১৯ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কে এম জাহাঙ্গীর কবির নামে এক যুবক।
Advertisement
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বরিশাল থেকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনার পর এ কথা জানান তিনি।
জাহাঙ্গীর কবির বলেন, আমার বোন শাহিনুর খাতুন স্বপ্নার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ভাগ্নি সাদিয়ার অবস্থাও তেমন ভালো নয়। সাথে বোনজামাইও আগুনে পুড়েছে। তাই তাদেরকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে নিয়ে আসতে ১৯ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। ঢাকায় না আনা গেলে ক্ষতি আরও বেশি হতো।
তিনি জানান, কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরার ইমাম বাড়ি এলাকায় সপরিবারে থাকেন তারা। কয়েকদিন আগে মাত্র এসএসসি পরীক্ষা শেষ করেছে ভাগ্নে সাইফুল্লাহ মানসুর সাদিক। তাই প্রায় চার বছর পর সপরিবারে তারা গ্রামের বাড়ি বরগুনায় যাচ্ছিল।
Advertisement
‘দোতলার ডেকে আমার বোন, দুলাভাই, ভাগ্নি, ভাগ্নে একসাথেই ঘুমাচ্ছিল। রাত ৩টায় হুড়োহুড়ির শব্দ পেয়ে ঘুম ভাঙে তাদের। এসময় হুড়োহুড়িতে সাদিক তার বাবা বাচ্চু মিয়া ও মা শাহিনুর খাতুন স্বপ্নাকে হারিয়ে ফেলে। একমাত্র বোন সাদিয়াকে নিয়ে প্রথমে দোতলা থেকে নিচে নামতে গেলে আগুনের তীব্র উত্তাপ টের পায়।’
জাহাঙ্গীর কবির আরও বলেন, ‘আমার বোনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। ভাগ্নি সাদিয়ার শরীরেরও ২০ ভাগ পুড়ে গেছে।’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) গভীর রাতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী লঞ্চটিতে ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। দগ্ধ বা আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন শতাধিক মানুষ।
আরএসএম/এমআরআর
Advertisement