ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আহত নারী ও শিশুসহ পাঁচজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের বেশিরভাগেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন।
Advertisement
দুপুরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে নিয়ে আসা হয় ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা জেসমিন আক্তারসহ তার আট বছরের শিশু সন্তান তানিমকে। আসার পথে মাওয়ায় তার ছয় বছরের কন্যা মেহরিন মারা যায়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তামিমের শরীরে দগ্ধের পরিমাণ ৩০ শতাংশের ওপরে। আর জেসমিন দগ্ধ হয়েছেন ১০ শতাংশ।
শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন জানান, বরিশালে ভর্তি ৮১ জনের ১০ জনকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। এরই মধ্যে পাঁচজনকে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
Advertisement
এদিকে, বরিশাল মেডিকেলে চিকিৎসাব্যবস্থাকে সহায়তা দিতে সাত সদস্যের একটি মেডিকেল টিমকে ঢাকা থেকে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ডা. সামন্তলাল সেন।
দগ্ধ জেসমিন আক্তারের খালু আবুল হোসেন জানান, জেসমিনের স্বামী খলিলুর রহমান বরগুনায় কাপড়ের ব্যবসা করেন। বৃহস্পতিবার রাতে ওই লঞ্চে জেসমিন ছেলে তানিম ও মেয়ে মাহিনুরকে নিয়ে স্বামীর কাছে যাচ্ছিলেন। এ সময় ঘটনাটি ঘটে। তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলেই মাহিনুর আগুনে পুড়ে মারা যায়। ছেলে-মেয়েদের দিয়ে জেসমিন কেরানীগঞ্জের সুবাড্ডা এলাকায় বসবাস করেন বলেও জানান তিনি।
আরএসএম/এআরএ/এমএস
Advertisement