ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে চলন্ত লঞ্চে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ শিশুসহ পাঁচজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছে। দগ্ধদের দেখতে বার্ন ইনস্টিটিউটে এসেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
Advertisement
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে আসেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
দগ্ধ ওই পাঁচজন হলেন- জেসমিন আক্তার (৩৫), তার ছেলে তানিম হাসান (০৮), বাচ্চু মিয়া (৫০) ও তার মেয়ে সাদিয়া (২০)। অন্যজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এর আগে শুক্রবার বিকাল তিনটার পরে দগ্ধ অবস্থায় প্রথমে দুজনকে ও পরে আরও তিনজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
Advertisement
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল জানান, লঞ্চে আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজন এখানে এসেছেন। এদের মধ্যে জেসমিন আক্তারের শরীরের ১২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে ও তার ছেলে তানিম হাসানের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক ও মায়ের অবস্থা শঙ্কামুক্ত নন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাদের দুজনকে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি তিনজনের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠির কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজ শুরু করে।
দগ্ধদের মধ্যে ৭২ জনকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে মারা গেছেন ৪০ জন।
আরএসএম/কেএসআর/এমএস
Advertisement