জাতীয়

‘বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে তাও জানি না’

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ‘অভিযান-১০’ লঞ্চ দুর্ঘটনায় খোঁজ মিলছে না উত্তরা মডেল হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী কৃষ্ণ প্রসাদের। হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরছেন তার চাচা শিশির কুমার ঘরামী। বৃহস্পতিবার ছোট ভাই প্রত্যয় হাওলাদার (৭) ও তার মা গীতা রানীকে (৩০) নিয়ে লঞ্চে যায় সে। দুজন সুস্থ থাকলেও খোঁজ মিলছে না তার।

Advertisement

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাগো নিউজকে জানান শিশির কুমার ঘরামী।

তিনি বলেন, ‘ঢাকা থেকে ছুটিতে বেড়াতে যায় তারা। বরগুনা জেলার বামনা থানার বাটাজোরে গ্রামের উদ্দেশ্যে। দুর্ঘটনা যখন ঘটে তখন কৃষ্ণ প্রসাদ (১২) ওয়াশরুমে ছিল। আগুনের কারণে সে আর ফিরে আসতে পারেনি। তার খোঁজ করেও সন্ধান মেলেনি। বরিশাল সাগরদী হাসপাতালেও খুঁজেছি কিন্তু পাইনি।’

চাচা শিশির বলেন, ‘এখানে এসেও এখনো পায়নি তাকে। তার সন্ধানটা অন্তত জানতে চাই। বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে তাও জানি না।’

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠির কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকাজ শুরু করে। এখন পর্যন্ত লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ জনে। দগ্ধদের মধ্যে ৭২ জনকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়।

জানা গেছে, লঞ্চটিতে হাজারখানেক যাত্রী ছিলেন। সুগন্ধা নদীতে থাকাবস্থায় লঞ্চটিতে আগুন লাগে। পরে পার্শ্ববর্তী দিয়াকুল এলাকায় বিপর্যস্ত লঞ্চটি ভেড়ানো হয়।

লঞ্চের একাধিক যাত্রী জানান, রাত ৩টার দিকে লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। পরে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে। এসময় লঞ্চে বেশ কয়েকজন যাত্রী দগ্ধ হন। প্রাণে বাঁচতে অনেকে নদীতে ঝাঁপ দেন।

আরএসএম/এআরএ/এমএস

Advertisement