হাসপাতালে দগ্ধদের আর্তনাদ ও বাইরে স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ।
Advertisement
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোর থেকে হাসপাতলে দগ্ধদের নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাইরে ভিড় বাড়তে থাকে স্বজনদের। সেখানে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, ভোর থেকে এ পর্যন্ত হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৭০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের শরীরের ৮০ ভাগ পুড়ে গেছে। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজনের শরীর ৫০ ভাগ পুড়ে গেছে। ৫০-৮০ ভাগ দগ্ধ ২০ জনের মতো রোগী রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, অগ্নিদগ্ধ তিনজনকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। আশঙ্কাজনক আরও দুজনকে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
Advertisement
ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, দগ্ধদের হাসপাতালে আনার সময় স্বজনরা অনেকের সঙ্গে ছিলেন না। পরে খবর পেয়ে তারা হাসপাতালে ভিড় করছেন। রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত হওয়ার শঙ্কায় তাদের হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত রাত ৩টার দিকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিনে আগুন লাগে। মুহূর্তে আগুন পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ৪০ জন নিহত ও আরও অন্তত কয়েক যাত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। হতাহতদের কারো নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
খবর পেয়ে বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠির কোস্টগার্ডসহ ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট উদ্ধারকাজ করছেন। দগ্ধদের মধ্যে ৭২জনকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা বরিশাল, ঝালকাঠিসহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হতাহতদের কারো নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সাইফ আমীন/আরএইচ/এমএস
Advertisement