দেশজুড়ে

সুগন্ধায় নিখোঁজদের সন্ধানে ডুবুরিরা

অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচতে নদীতে লাফিয়ে পড়াদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশের ডুবুরি দল।

Advertisement

শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে তিন বাহিনীর তিন দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। দুপুর সাড়ে ১১টায় ঝালকাঠির সহকারী পুলিশ সুপার মাহবুব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ডুবুরি দল ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। তারা সবাই লঞ্চের আগুন থেকে বাঁচতে নদীতে ঝাঁপ দেন। উদ্ধার অভিযান চলছে।

এদিকে সকাল থেকে নদী তীরের গাবখান ধানসিঁড়ি এলাকায় দগ্ধদের স্বজনরা ভিড় করেন। স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর তীর।

Advertisement

এছাড়া, এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৭২ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত ২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাকিরা বরিশাল, ঝালকাঠিসহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, ‘চিকিৎসকের অভাবে হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগটি বন্ধ রয়েছে। এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ৭২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, ‘হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের তিন ওয়ার্ডে ৫০ জন চিকিৎসক ও ইন্টার্ন চিকিৎসক দগ্ধ রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। তবে সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

এর আগে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত রাত ৩টার দিকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিনে আগুন লাগে। মুহূর্তে আগুন পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ৩৯ জন নিহত ও আরও অন্তত কয়েক যাত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। হতাহতদের কারো নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।

Advertisement

খবর পেয়ে বরিশাল, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠির কোস্টগার্ডসহ ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট উদ্ধারকাজ করছেন।

এ বিষয়ে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘ আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন বেশ কয়েকজন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’

আতিক রহমান/এএইচ/জিকেএস