অবশেষে তুরস্কের নিজস্ব প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত ভ্যাকসিন ‘টার্কিভ্যাক’ জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে। এর আগে তুর্কি মেডিসিনস অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইস এজেন্সির (টিআইটিসিকে) কাছে অনুমোদন চেয়ে প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছিল। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান সানলিউরফা অর্গানাইজড ইন্ডাস্ট্রিয়াল গবেষণাগারে টার্কিভ্যাকের উৎপাদন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
Advertisement
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে এই ভ্যাকসিন আমাদের নিজস্ব বিজ্ঞানী ও গবেষকদের দ্বারা তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ সময়ের অধ্যয়নের ফলে এটি এখন ব্যবহারের পর্যায়ে এসেছে।
তিনি বলেন, ‘নাগরিকদের সিনোভাক ও বায়োটেক ভ্যাকসিনের পর তৃতীয় বিকল্প হিসেবে স্থানীয় ভ্যাকসিন ‘টার্কিভ্যাক’ দেওয়া হবে। কিছু মানুষ বাইরের ভ্যাকসিন ব্যবহার না করে ঝুঁকি নিয়ে আমাদের নিজস্ব টিকার জন্য অপেক্ষা করছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের নিজস্ব টিকা তাদের নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাই।
তিনি আরও বলেন, মহামারি চলাকালীন বিশ্বের ১৬০টি দেশ ও ১২টি আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে আমাদের চিকিৎসা সরঞ্জাম বিশেষ করে মাস্ক বিতরণ করেছি। আমরা অন্যান্য জায়গা থেকে যে ভ্যাকসিনগুলো পাই তা জরুরি প্রয়োজনে কিছু বন্ধুত্বপূর্ণ দেশে পাঠাই। এ ভ্যাকসিন দেশ, জাতি ও সমগ্র মানবতার জন্য উপকারী হবে বলেও জানান এরদোয়ান।
Advertisement
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেটিন কোজা বলেন, এখন আমরা করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী নয়টি দেশের মধ্যে একটি। আজ থেকে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হয়েছে আমাদের টিকা। জাতি যে সুসংবাদটির জন্য অপেক্ষা করছিল তা দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। এখন থেকে উৎপাদন শুরু করেছি। ৫০ বছর পরে আমরা একটি ভ্যাকসিন তৈরি করেছি। আমাদের তুর্কি বিজ্ঞানীরা ১০০ শতাংশ দেশীয়ভাবে তৈরি করেছেন। যার কোষ থেকে শুরু করে সব তুরস্কের।
তিনি বলেন, আমাদের দেশীয় ভ্যাকসিন ২৪ বছর পর উৎপাদিত হলো। আমাদের প্রেসিডেন্ট বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়ায় তুর্কিবাসী দ্রুত আলোর মুখ দেখলো। বছর শেষ হওয়ার আগেই উৎপাদন শুরু হয়েছে। এরদোয়ানের নেতৃত্বে আমাদের সমগ্র জাতির সাফল্য।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে আমরা নতুন ভ্যাকসিন ব্যবহার করবো। তুরস্ক আরেকটি ঐতিহাসিক দিনের সাক্ষী হচ্ছে। আমরা আগামী সপ্তাহে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করেছি। যা প্রায় ১০ দিন আগে শুরু হয়েছিল। আমরা আশা করি আগামী সপ্তাহে টেন্ডার শেষ হবে।
আঙ্কারা বিমানবন্দরের কাছে ৫০ হাজার বর্গ মিটারের একটি এলাকা নেওয়া হয়েছে। সেখানে হবে বিশ্বের বৃহত্তম ক্ষমতাসম্পন্ন ভ্যাকসিন উৎপাদন কেন্দ্র। এমআরএনএ ভ্যাকসিন, নিষ্ক্রিয় ভ্যাকসিন, নাকের টিকা, প্রোটিন ভ্যাকসিন এবং অ্যাডোনোভাইরাস ভ্যাকসিনে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।
Advertisement
এমআরএম/এমএসএম/জিকেএস