দেশজুড়ে

সিলেটে ব্যাংক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করলো ছাত্রলীগ

সিলেট শহরতলীর মেজরটিলায় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকে হামলা হয়েছে। এসময় একটি প্রাইভেট মিনিজিপ গাড়ি ভাঙচুর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।  প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগের দলীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় খাদিম বাইপাস এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী তুষারকে মারধর করেন জেলা যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা কামরুল ইসলাম, টিটু চৌধুরী, আনছারসহ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। এর জের ধরে রাতে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের রায়হান চৌধুরীর অনুসারীরা হামলা চালায় জেলা যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের অনুসারীদের উপর। এ সময় মেজরটিলা বাজারস্থ ফিজা সুপার শপ, কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন ব্যাংক ও ওয়ান ব্যাংকের গ্লাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এছাড়া ইউনিয়ন ব্যাংকের সামনে রাখা একটি গাড়ি (ঢাকা মেট্রো ঘ ১৩-৭৫৯৭) ভাঙচুরও চালায় ছাত্রলীগের ক্যাডাররা।স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের দাবি টিলাগড় এলাকার ছাত্রলীগ ক্যাডার হান্নান ও জাকারিয়ার নেতৃত্বে টিলাগড় এলাকার চিহ্নিত ছিনতাইকারী চক্র এ ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে ইসলামপুর ইউনিয়ন ব্যাংকের সহকারী ম্যানেজার শিমু জানান, বিষয়টি ব্যাংকের কেন্দ্রীয় শাখা এবং সিলেটের হেড অফিসে জানানো হয়েছে। কর্মকর্তাদের নির্দেশ মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ফিজা সুপার শপ মেজরটিলা ইসলামপুর শাখার পরিচালক জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে একদল অস্ত্রধারী ডাকাত ইউনিয়ন ব্যাংক লুটের অভিযানে ব্যার্থ হয়। ব্যাংক থেকে ফেরার পথে সুপার শপে ভাঙচুর চালিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি জানান। এ ব্যাপারে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান চৌধুরী ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা সম্পূর্ণ ভুয়া বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ইসলামপুরের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর গ্রুপের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগ কর্মীকে খাদিম বাইপাসে ছুরিকাঘাত করে। এ ঘটনার জের ধরেই তুষারের পক্ষে এবং জাহাঙ্গীর গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তুষারের পিতা ময়নুল ইসলাম জানান, গুরুতর আহতাবস্থায় তুষারকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি জানান, সন্ধ্যায় তুষার বাসা থেকে বটেশ্বর গিয়েছিল। সেখান থেকে ফেরার পরে কামরুল ইসলাম, টিটু চৌধুরী, আনছারসহ কয়েকজন যুবক তার ছেলেকে মারধর করে। পরে আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সিলেট শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন জানান, ব্যাংক ডাকাতির বিষয়টি ভুয়া। ছাত্রলীগের দু’পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এতে গাড়ি ও একটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে দুষ্কৃতিকারীরা ভাঙচুর করেছে।     ছামির মাহমুদ/জেডএইচ

Advertisement