কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে চার ইন্টার্নি চিকিৎসক লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়ে তা এখনো চলছে। ধর্মঘটের কারণে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায় অনেকটা অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, এ ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পর থেকে হাসপাতালে রোগীদের নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্বজনরা। সন্ধ্যা ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রব। জানা যায়, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে কুমিল্লা নগরীর মুন্সেফ বাড়ি এলাকার সবুজ তিন বন্ধু সজীব, নাজমুল হাসান ও রাজনকে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন। এ সময় তারা ডাক্তার না পেয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তারা চার ইন্টার্নি চিকিৎসক আবদুল হান্নান, হিমেল, ইমতিয়াজ ও নাদিয়াকে মারধর ও লাঞ্ছিত করেন। এর মধ্যে হান্নান ও হিমেল হাসপাতালের ডক্টরস কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার সকালে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট আহ্বান করে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেন ইন্টার্নি চিকিৎসকরা। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে দুপুর ১২টার দিকে ইন্টার্নি চিকিৎসকরা হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন করেন। এ বিষয়ে কুমেক হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এ বি এম খুরশীদ আলম জানান, চিকিৎসকদের উপর হামলা ও লাঞ্ছিত করার ঘটনায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ কে এ মান্নানকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ইন্টার্নি চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. বাছেদ আহমেদ সরকার বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুর রব জানান, এ ঘটনায় পুলিশ রাজন, সবুজ, সজীব, নাজমুল হাসানকে গ্রেফতার করেছে। ইন্টার্নি চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. বাছেদ আহমেদ সরকার জানান, চিকিৎসকদের উপর হামলাকারীরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আইনগতভাবে মীমাংসার মাধ্যমে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে চিকিৎসা সেবা স্বাভাবিক রাখতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। কামাল উদ্দিন/এআরএ/পিআর
Advertisement