দেশজুড়ে

খাগড়াছড়ি জেলা আ.লীগ কার্যালয়ে তালা : প্রতিবাদে মানববন্ধন

পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী পরাজয়ের একদিন পর শুক্রবার সকাল থেকেই তালা ঝুলছে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে। তালাবদ্ধ থাকায় দলের নেতাকর্মীদের কেউই প্রবেশ করতে পারছেন না কার্যালয়ের ভেতরে। ক্ষমতাসীন দলের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছে কে ? এমন প্রশ্ন যখন শহর জুড়ে বেশ আলোচিত, তখনও বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগের অভিভাবক ও দলের সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে প্রথম সারির নেতাদের কেউই জানেন না। এ নিয়ে গত শুক্রবার বিকেল থেকে জেলা শহরে দলের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের শোডাউন করতে দেখা গেছে। পাশাপাশি শনিবার সকালের মধ্যে কার্যালয়ের তালা খুলে দেয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। এমন পরিস্থিতিতে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় এবং গুরুত্বপূর্ণ কয়েক নেতার বাসায় নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।এদিকে, শনিবার জেলা শহরের শাপলা চত্বরে দলীয় কার্যালয়ে তালা খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ ব্যাপারে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে দুষলেন জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মো. দিদারুল আলম। তিনি বলেন, আগামী ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের প্রস্তুতি সভা করতে শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে গিয়ে গেইটে তালাবদ্ধ দেখতে পাই। পরে এ ব্যাপারে দলীয় কার্যালয়ের কেয়ারটেকার দীপক সেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এমপি সাহেব তার কাছ থেকে কার্যালয়ের চাবি নিয়ে নিয়েছেন।দিদারুল আলম অভিযোগ করে বলেন, মূলত খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী পরাজিত হওয়ার ক্ষোভেই তিনি কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।তবে অভিযোগ অস্বীকার করে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা জাগো নিউজকে জানান, আমার মা অসুস্থ। আমি মাকে নিয়ে ব্যস্ত আছি। অফিসে কে তালা ঝুলিয়েছে তা আমার জানা নেই।খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দিন ভূইয়া বলেন, বিষয়টি রাজনৈতিক। তবুও আমরা নিরাপত্তার প্রশ্নে যা যা করণীয় তা করতে প্রস্তুত আছি।এআরএ/পিআর

Advertisement