ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলে বিবাহিত মেয়েদের থাকার বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ নিয়ে উদ্বেগ ও বিস্ময় প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। একইসঙ্গে উদ্ভূত সমস্যার সমাধানে উচিত পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে এই নারী সংগঠনটি।
Advertisement
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি এ আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে লক্ষ্য করলাম যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে বিবাহিত নারী শিক্ষার্থীদের থাকার বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গভীরভাগে উদ্বিগ্ন ও বিস্মিত।
এতে উল্লেখ করা হয়, আমরা জানি যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে কোনো শিক্ষার্থীর জন্য একটি স্বপ্নের নাম, যাকে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলা হয়। এখানে যারা লেখাপড়া করে তারা ভর্তিযুদ্ধের মাধ্যমে তাদের মেধা ও যোগ্যতায় ভর্তির সুযোগ পায়। যে প্রতিযোগিতায় বিবাহিত-অবিবাহিত কিংবা নারী-পুরুষ বলে কোনো ভেদাভেদ থাকে না। তেমনই ভর্তির পর হলে সিট পাওয়া সব শিক্ষার্থীর সমঅধিকার।
Advertisement
মহিলা পরিষদ বলছে, আবাসিক হলে থাকার জন্য নারী শিক্ষার্থীদের অবিবাহিত হওয়া কোনো শর্ত হতে পারে ন। কারণ আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত আসার আগেই অনেক মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়। বরং বিবাহিত হওয়ার পর যেসব মেয়েরা তাদের লেখাপড়া চালিয়ে যায় তাদের জীবনযুদ্ধটা আরও কঠিন। তাই বিবাহিত মেয়েদের আবাসন সংকটের সমাধান না করলে অনেক বিবাহিত মেয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন শুরুতেই ঝরে যাবে। এই বিধিনিষেধ নারীর উচ্চশিক্ষা লাভের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মনে করে এই বিধিনিষেধের ফলে নারীর উচ্চশিক্ষা ও মেধাবিকাশের পথ রুদ্ধ হবে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ অবিলম্বে সব দিক বিবেচনা করে বিবাহিত মেয়েদের হলে থাকার বিষয়ে আরোপিত বিধিনিষেধ পুনর্বিবেচনা করে এর সমাধানের উদ্যোগ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানাচ্ছে।
এইচএস/এমকেআর/এমএস
Advertisement