গোল হচ্ছে ফুটবল ও হকির আসল সৌন্দর্য। যদি এক ম্যাচে ১১ গোল হয়, আর সেই ম্যাচে যদি হয় দুই দলের রুদ্ধশ্বাস এক লড়াই, তাহলে তো পয়সা উসুল দর্শকদের।
Advertisement
মঙ্গলবার সেই গোলের বাহারে ভরে গিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া ও পাকিস্তানের মধ্যকার এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হকির প্রথম সেমিফাইনাল। ঢাকার মাঠে পাকিস্তানের সমর্থকই বেশি কোরিয়ার চেয়ে।
পাকিস্তানের প্রতিটি গোলের পরই ‘পাকিস্তান-পাকিস্তান’ ধ্বনি উঠেছে। আবার কোরিয়ার গোলে নীরব নিস্তব্ধতা। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান সমর্থকরা চোখের পানি ফেলেছে। আনন্দে মন ভরে গিয়েছে নিরপেক্ষ হকিভক্তদের। এমন ম্যাচ কি সবসময় ভাগ্যে জোটে?
সেমিফাইনালের লাইনআপ চূড়ান্ত হওয়ার পর ভারত-পাকিস্তান ফাইনালের সম্ভাবনা দেখেছিল হকিপ্রিয় মানুষ। এক টুর্নামেন্টে দুটি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হলে তো ষোলকলা পূর্ণ হতো দর্শকদের।
Advertisement
এই টুর্নামেন্টে পাকিস্তান তাদের নামের সঙ্গে সুবিচার করে খেলতে পারেনি। তবে দলটি পাকিস্তান বলে প্রথম সেমিফাইনালে কোরিয়ার বিপক্ষে তাদেরই ফেভারিট ধরা হয়েছিল। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার লড়াকু খেলা পাকিস্তানের ফাইনাল খেলার স্বপ্ন উবে যায় কর্পূরের মতো।
ম্যাচের শেষ গোল দিয়ে জয় তুলে নিয়েছে কোরিয়া। অথচ পাকিস্তানই এগিয়ে গিয়েছিল ৩ মিনিটে, ওমর ভুট্টাের অসাধারণ ফিল্ড গোলে। ১১ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার পায় কোরিয়া। গোল না হলেও হয়ে যায় পেনাল্টি স্ট্রোক। গোল করে সমতায় ফেরে কোরিয়া। ১ মিনিটের ব্যবধানে আবারো পেনাল্টি স্ট্রোক পায় কোরিয়া। জ্যাং জঙ হিউন গোল করে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন দলকে।
২২ মিনিটে জুনাইদ মানজুরের ফিল্ড গোলে সমতায় ফেরে পাকিস্তান। ২৪ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে কোরিয়াকে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে দেন জ্যাং জং হিউন। ৩০ মিনিটে আফরাজরে গোলে সমতায় ফেরে পাকিস্তান। বিরতির বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে গোল করে আবার এগিয়ে যায় কোরিয়া।
৪৪ মিনিটে জেং জুনউ গোল করলে কোরিয়া এগিয়ে ৫-৩ ব্যবধানে। (৩-৫) ফিল্ড গোল। ৪৭ মিনিটে মোবাশশ্বের আলীর গোলে পাকিস্তান ব্যবধান কমিয়ে আনে ৪-৫ এ। ১ মিনিট পর আবারো পিসি পাকিস্তানের। গোল দিতে পারেনি।
Advertisement
৫১ মিনিটে গোল করে পাকিস্তান সমতায় ফিরলে জমে উঠে সেমিফাইনাল। এর পরপরই গোল করে ব্যবধান ৬-৫ করে দক্ষিণ কোরিয়া। শেষ পর্যন্ত ওই স্কোরেই শেষ হয় প্রথম সেমিফাইনাল। পাকিস্তানের স্বপ্ন চুরমার করে ফাইনালে উঠে যায় দক্ষিণ কোরিয়া।
আরআই/এমএমআর/এমএস