সন্দেহের তালিকায় থাকা পাকিস্তানী অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ নিজের সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষার জন্য ইংল্যান্ড যাবেন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তা বুধবার এ কথা জানান। গত সপ্তাহে নিউজিল্যন্ডের বিরুদ্ধে আবু ধাবিতে প্রথম টেস্টে হাফিজের সন্দেহজনক বোলিং এ্যাকশন নিয়ে রিপোর্ট করা হয়।ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের(আইসিসি) নিয়মানুযায়ী সন্দেহজনক বোলিংয়ের জন্য রিপোর্টেড হওয়ার ২১ দিনের মধ্যে সেই বোলারকে অবশ্যই অনুমোদিত গবেষনাগারে বায়ো-মেকানিক্যাল পরীক্ষার সমুখীন হতে হবে। পাকিস্তানের টিম ম্যানেজার মঈন খান জানান, আগামী ২৪ নভেম্বর ইংল্যান্ডের লোব্রোতে পরীক্ষা করাবেন হাফিজ। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারনে দুবাইতে নিউজিল্যন্ডের বিপক্ষে চলমান দ্বিতীয় টেস্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন হাফিজ।পরীক্ষায় কোন ত্রুটি ধরা না পড়লে ২৫ নভেম্বর হাফিজ ফিরে আসবেন বলে জানান মঈন। শারীরি ভাবে ফিট থাকলে শারজাহতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টের দলে থাকবে হাফিজ। তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট ২৬ নভেম্বর শুরু হবে। বায়ো-মেকানিক্যাল পরীক্ষায় তার বোলিং এ্যাকশন অবৈধ প্রমানিত হলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হবেন হাফিজ এবং বোলিং এ্যাকশন শোধরানোর জন্য তাকে কাজ করতে হবে। আইসিসির নিয়মানুসারে বোলিং করার সময় কোন বোলার ১৫ ডিগ্রি পর্যন্ত হাত বাঁকা করতে পারে।গত জুন মাসে সন্দেহজনক বোলিং এ্যাকশনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হওয়ার পর রিপোর্টেড হওয়া অস্টম বোলার হাফিজ। রিপোর্টেড হয়ে নিষিদ্ধ হওয়া বোলাররা হলেন- পাকিস্তানের সাঈদ আজমল, শ্রীলংকার সাচিত্রা সেনানায়েকে, নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন, বাংলাদেশের সোহাগ গাজি এবং জিম্বাবুয়ের প্রসপার উৎসেয়া।বাংলাদেশের পেসার আল আমিন হোসেন এর বিরুদ্ধেও রিপোর্ট করা হয়েছিল। তবে বায়ো-মেকানিক্যাল পরীক্ষার পর তাকে মুক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। এ মাসের প্রথম দিকে জিম্বাবুয়ের ম্যালকম ওয়ালার বিরুদ্ধেও রিপোর্ট করা হয়েছে।
Advertisement