নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি একজন আদর্শ সাংসারিক মানুষ ছিলেন। সংসার জীবনে স্ত্রীর জন্য ছিলেন আদর্শ স্বামী। হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার মুখেই ফুটে ওঠেছে তাঁর আদর্শ সাংসারিক জীবনের কথা। কেমন ছিলেন তিনি?
Advertisement
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজের জুতা নিজেই মেরামত করতেন; কাপড় সেলাই করতেন এবং আপনারা যেভাবে বাড়িতে গৃহস্থালির কাজ-কর্ম করে থাকেন তেমনি তিনিও বাড়িতে গৃহস্থালির কাজ-কর্ম করতেন। তিনি মানব সমাজের মধ্য থেকে একজন আদর্শ মানুষ ছিলেন যে, তিনি কাপড়ে উকুন খুঁজতেন, বকরির দুধ দোহন করতেন এবং নিজের কাজ নিজেই করতেন।’ (তিরমিজি)
সুবহানাল্লাহ! দুই জাহানের বাদশাহ, রাহমাতুললিল আলামিন হয়েও তিনি কত সহজ-সরল জীবন যাপন করতেন। তিনিই উম্মদের দরদি নবি। যিনি সবার দরদ বুঝতেন। পরিবার-পরিজন ও স্ত্রীদের দরদ বুঝতেন।
এ কারণেই তিনি ঘরের সাংসারিক নানান কাজে নারীদের সহযোগিতায় উৎসাহ প্রদান করেছেন। তিনি নিজেও সংসার জীবনে তাঁর স্ত্রীদের সহযোগিতা করেছেন, যা হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনায় পাওয়া যায়-
Advertisement
‘হজরত আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করা হলো যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর ঘরের মধ্যে কি ধরনের আচরণ করতেন? তিনি (হজরত আয়েশা) বলেন, তোমরা যেরূপ কোনো একটি বস্তু উপরে তুলে রাখো এবং নিচে নামিয়ে রাখো; তিনিও সেরূপ করতেন। তবে সেলাই কাজ ছিল তার সবচেয়ে পছন্দনীয় কাজ।’
সত্যি তিনি এক আদর্শ জীবনের প্রতিচ্ছবি! তিনি আমাদের প্রিয় নবি! বিশ্ববাসীর জন্য সব কাজের সেরা আদর্শ। তাঁর জীবনের প্রতিটি দিক ছিল বিশ্ববাসীর জন্য সর্বোত্তম আনুকরণীয় ও অনুসরণীয় আদর্শ। অসংখ্য দরূদ ও সালাম প্রিয় নবির প্রতি- صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে ঘরে কিংবা বাইরে যথাযথ দায়িত্বশীল হওয়ার তাওফিক দান করুন। নিজের কাজ নিজে করার তাওফিক দান করুন। প্রিয় নবির সুন্দরে ভরা সব আদর্শ নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এএসএম
Advertisement