আন্তর্জাতিক

ইরানে প্রথমবারের মতো ওমিক্রন শনাক্ত

ইরানে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। ধরনটি প্রথম শনাক্ত হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। এরপর এটি ৮৯টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে দেশে দেশে করোনার সংক্রমণও বেড়েছে। অনেক দেশই বাধ্য হচ্ছে লকডাউনে ফিরে যেতে।

Advertisement

জানা গেছে, ইরান তাদের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিয়েছে। দেশটির আট কোটি ৫০ লাখ মানুষ দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন। তাছাড়া কর্মকর্তারা দেশটির নাগরিকের যত দ্রুত সম্ভব বুস্টার ডোজ নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।

করোনার নতুন ধরনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে ইউরোপের দেশগুলোতে। এরই মধ্যে ব্রিটেনের ওপর বিধিনিষেধ আনতে যাচ্ছে জার্মানি। ইউরোপের সর্বশেষ দেশ হিসেবে জার্মানি ব্রিটিশ ভ্রমণকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আনতে যাচ্ছে। এর আগে যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ বিধিনিষেধ জারি করে ফ্রান্স।

অন্যদিকে ওমিক্রন মোকাবিলায় কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে নেদারল্যান্ডস। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন সামনে রেখেও জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় রোববার থেকে এমন কঠিন সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে দেশটির সরকার।

Advertisement

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে গত ২৪ নভেম্বর প্রথমবারের মতো ওমিক্রন শনাক্তের খবর পৌঁছায়। এরপর ২৬ নভেম্বর সংস্থাটি এটিকে ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন ঘোষণা করে। ধরনটি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত কোনো তথ্য জানা যায়নি। নতুন ধরনটি কতটা বিপজ্জনক সে তথ্য নেই বিজ্ঞানীদের কাছেও। তবে প্রাথমিক উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এটি ডেল্টার চেয়েও বেশি সংক্রমণযোগ্য।

সংস্থাটি জানায়, ওমিক্রন ক্লিনিক্যালি কতটা তীব্র বা মারাত্মক অথবা প্রচলিত টিকা এটির বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর সে সম্পর্কেও বিস্তারিত কোনো তথ্য নেই। শুক্রবার লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ একটি নন-পিয়ার পর্যালোচনা গবেষণায় জানায়, ওমিক্রনের মাধ্যমে পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি পাঁচগুণের বেশি ও এটি ডেল্টার চেয়ে হালকা এমন কোনো তথ্যও নেই।

এর আগে ডব্লিউএইচও জানিয়েছিল, করোনার নতুন এ ধরনে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওমিক্রনে এমন কিছু মিউটেশন বা রূপান্তর ঘটেছে, যার ফলে এর বিরুদ্ধে প্রচলিত টিকাগুলো কার্যকর নাও হতে পারে। তবে বিধিনিষেধের বিষয়ে পরিস্থিতি বিবেচনায় পদক্ষেপ নিতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের এই সংস্থা।

এমএসএম/জেআইএম

Advertisement