আগামী বছরের জন্য বেসরকারি স্কুলগুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য ডিজিটাল লটারির উদ্বোধন করা হয়েছে। কোটা অনুযায়ী লটারি শেষে ফলাফল প্রকাশ করা হচ্ছে। ঢাকার জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে রোববার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
Advertisement
অনুষ্ঠানে তিনি সফটওয়্যারে প্রবেশ করে বোতাম চেপে লটারি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। টেলিটকের বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে স্কুলে ভর্তির এই লটারি পরিচালিত হচ্ছে।
এর আগে, গত ১৫ ডিসেম্বর সরকারি স্কুলগুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির লটারি হয়। এতে ৭৫ হাজার ৯৬৯ শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়। ওই দিন বিকেলে ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সরকারি স্কুলগুলোতে ভর্তির জন্য ডিজিটাল লটারি ও ফল প্রকাশ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী।
২০২২ সালের প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে স্কুলে ভর্তির জন্য ২৫ নভেম্বর অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়, চলে ১৬ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত।
Advertisement
টেলিটকের বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে লটারি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
মাউশি এর আগে এক অফিস আদেশে জানায়, সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন ও ভর্তিপ্রক্রিয়া অবশ্যই ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। লটারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ভর্তি পরিচালনা কমিটি, ঢাকা মহানগরের ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাউশি অভিভাবক, ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষক প্রতিনিধির উপস্থিতি থাকতে হবে।
করোনা মহামারির কারণে গত বছর প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর আগে শুধু প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। আর দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তিতে পরীক্ষা নেওয়া হতো। নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হতো জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে।
করোনা প্রাদুর্ভাবের পর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর প্রায় দেড় বছর পর গত ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজে সশরীরে ক্লাস শুরু হয়।
Advertisement
এমএইচএম/এআরএ/জিকেএস