যুক্তরাষ্ট্রে সরবরাহ ব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা ও মুদ্রাস্ফীতির সমস্যা সত্ত্বেও খুচরা বাণিজ্য গোষ্ঠী ও শিল্প পর্যবেক্ষকরা এবারের ছুটির মৌসুমে অর্থাৎ বড়দিনের উৎসবে বিক্রির রেকর্ড মাত্রার পূর্বাভাস দিচ্ছেন।
Advertisement
তবে বাণিজ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি পরিচালিত এক জরিপে দেশটির অধিকাংশ ধনী ব্যক্তিরা অর্থাৎ ৬৮ শতাংশই বলেছেন, তারা এ বছরের ছুটিতে বেশি ব্যয় করবেন না। আগের বছর যেভাবে খরচ করেছেন এ বছরও একই পরিমাণ করবেন। এছাড়াও দেশটির ধনীদের একটি বড় অংশ জানিয়েছেন, এ বছরের ছুটির মৌসুমে তারা আড়াই হাজার ডলারেরও কম খরচ করবেন। যা ২০১৯ সালের চেয়েও অনেক কম।
এই ছুটির মৌসুমে মিলিয়নিয়াররা কীভাবে তাদের ব্যয় কমাবেন তার উপায় তারা নিজেরাই দেখিয়েছেন। মিলিয়নিয়ারদের মধ্যে ২৯ শতাংশ জানিয়েছেন এবারের ছুটিতে তারা এক হাজার ডলার থেকে দুই হাজার ৪৯৯ ডলার খরচ করবেন। যা গত বছরের তুলনায় ২৮ শতাংশ বেশি, কিন্তু ২০১৯ সালের চেয়ে ৩৪ শতাংশ কম। যারা শূন্য থেকে ৪৯৯ ডলার অথবা ৫শ ডলার থেকে ৯৯৯ ডলার ব্যয় করবেন তাদের সংখ্যাটা ২০২০ সালের থেকে অল্প কম তবে ২০১৯ সালের চেয়ে বেশি।
২৫ হাজার ডলারের ওপরে যে ধনী ব্যক্তিরা খরচ করার কথা জানিয়েছেন, তা গত বছরের তুলনা ৪ শতাংশ বেশি। কিন্তু ২০১৯ সালের চেয়ে দুই শতাংশ বেশি। অন্যদিকে ৬৮ শতাংশ মিলিয়নিয়ার বলেছেন, তারা গত বছরের মতোই ব্যয় করবেন। যেখানে ১২ শতাংশ বলছেন, তারা কম ব্যয় করছেন এবং ২১ শতাংশ বলেছেন যে তারা বেশি ব্যয় করছেন।
Advertisement
দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি ও সরবরাহ সমস্যায় ছুটির কেনাকাটায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ধনীরা জানিয়েছেন, তারাও এই সংকটের সম্মুখীন হচ্ছেন।
২৮ শতাংশ ধনী বলছেন, সরবরাহ ব্যবস্থায় ঘাটতি ও বিশৃঙ্খলার কারণে এ বছর তারা উপহার কার্ড বেশি দেবেন। ৩৩ শতাংশ জানিয়েছেন এবছর তারা দ্রুত কেনাকাটা শেষ করছেন। জরিপে অংশ নেওয়াদের মাত্র ৭ শতাংশ জানিয়েছেন, মুদ্রাস্ফীতির কারণে এ বছর তারা কম উপহার দেবেন। ২০ শতাংশ জানিয়েছেন, দাতব্য সংস্থায় দানের পরিমাণ বাড়াবেন।
ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও সরবরাহ বিপর্যয়ের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ প্রায় সব ধরনের জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। এর ফলে ৪০ বছরে ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) সর্বোচ্চ স্তরে এসে দাঁড়িয়েছে।
শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) বেড়েছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ, যা ১৯৮২ সালের জুনের পর সর্বোচ্চ।
Advertisement
এমএসএম/টিটিএন/জিকেএস