তথ্যপ্রযুক্তি

প্রতি লিটার জ্বালানিতে প্লেনের মাইলেজ কত?

আচ্ছা বলুন তো, প্রতি লিটার জ্বালানিতে বিমানের মাইলেজ কত? এই প্রশ্ন শুনে আপনারও কপালের ভাঁজ দীর্ঘ হচ্ছে নিশ্চয়ই? কেননা আমরা সচারচার গাড়ি কিংবা বাইক কেনার সময় এই ব্যাপারটা নিয়ে ভাবি। এখন যে কেউ বলতেই পারেন, বিমানের মাইলেজ নিয়ে ভাবার সময় কই। আমি তো আর বিমান কিনতে যাচ্ছি না।

Advertisement

আসলে বিমানে যাতায়াতের পরিমাণ বাড়লেও হয়তো এই প্রশ্ন কখনো আপনার মনে আসেনি। আবার সময়ের অভাবে উত্তর জানা হয়নি। চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক বিমানের মাইলেজ সম্পর্কে। কতটুকু যেতে বিমানের কতটুকু জ্বালানি খরচ হয়, কতটুকু জ্বালানিতে বিমান পাড়ি দিতে পারে কতখানি পথ।

উড়োজাহাজে ভরা থাকে এভিয়েশন ফুয়েল, জেট ফুয়েল, এভিয়েশন গ্যাসলাইন, বাইও ফুয়েল এসব ধরনের বিভিন্ন জ্বালানি। উড়োজাহাজে কোন ধরনের ইঞ্জিন লাগানো আছে এবং এটি কেমন এল্টিটিউড এ ফ্লাই করে, তার ওপর নির্ভর করে উড়োজাহাজে কোন জ্বালানি ব্যবহার করা হবে।

বেশির ভাগ গাড়ি এক লিটারে ৩০ থেকে ৮০ কিলোমিটার মাইলেজ দেয়। কিন্তু গাড়ি যত বড় হবে তার জ্বালানি খরচও তত বেশি হবে। ফলে মাইলেজও কমবে।

Advertisement

যেমন- বোয়িং ৭৪৭ বিমানে প্রতি সেকেন্ডে ৪ লিটার জ্বালানি খরচ হয়। অর্থাৎ এক মিনিট উড়লে ২৪০ লিটার জ্বালানি খরচ হয় এই বিমানের। বোয়িংয়ের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ৭৪৭ বিমানে প্রতি কিলোমিটারে ১২ লিটার জ্বালানি খরচ হয়। অর্থাৎ ১ লিটার জ্বালানিতে ০.৮ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে এই বিমান।

সে হিসেবে ১২ ঘণ্টার সফরে ১ লাখ ৭২ হাজার ৮০০ লিটার জ্বালানি খরচ হয়। বোয়িং বিমানে অন্ততপক্ষে ৫০০ যাত্রী ধরে। ঘণ্টায় ৯০০ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারে। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেশির ভাগ বিমানে ঘণ্টায় ৩ হাজার ২০০ লিটার জ্বালানি খরচ হয়।

সূত্র: দ্য কেশারি/এক্সপ্রেস ড্রাইভস

কেএসকে/জেআইএম

Advertisement