আক্কেল দাঁত ওঠার অভিজ্ঞতা সবারই জানা। প্রচণ্ড ব্যথা সহ্য করতে হয় এই দাঁত উঠলে। কয়েকদিন পর্যন্ত ব্যথা থাকে। সেইসঙ্গে খাবার চিবানোসহ গিলতে গেলেও প্রচণ্ড কষ্ট হয়।
Advertisement
অনেক সময় আক্কেল দাঁত ওঠার ব্যথা সহ্য করতে না পেরে ব্যথানাশক ওষুধ খেতে হয়। এ ছাড়াও অসহ্য যন্ত্রণা হলে সার্জারি পর্যন্তও করতে হয় অনেকের ক্ষেত্রে। আক্কেল দাঁত আসলে কী?
আক্কেল দাঁত কী?
মেডিকেলের ভাষায় আক্কেল দাঁতকে উইজডম টিথ বা থার্ড মোলার বলা হয়ে থাকে। মুখের একদম শেষ মাথায় ওপরে ও নীচে দুইপাশের মোট ৪টি দাঁতকে বলা হয় আক্কেল দাঁত।
Advertisement
সাধারণত ১৮-২৫ বছররের মধ্যে যে কোনো সময় আক্কেল দাঁত ওঠে। মুখে ৩২টি দাঁত ধরার জায়গা না থাকলে আক্কেল দাঁত ওঠার সময় প্রচণ্ড ব্যথা হয়।
এ বিষয়ে ডা. ফারিয়া তাবাসসুম তন্বী (বিডিএস (ঢাকা ডেন্টাল কলেজ), এমএস (অর্থোডন্টিক্স বিভাগ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) জানান, আক্কেল দাঁতগুলো সাধারণত ১৮ বছরের পরেই ওঠে। তখন মাড়ির টিস্যু একটু পুরু ও শক্ত হয়ে যায়।
দাঁতটিকে মাড়ি একটু চিরে উঠতে হয়। ফলে দাঁত ওঠার সময় চাপ হয় ও মাড়িকে একটু কেটে কেটে দাঁত বের হয়। এজন্য দাঁত ওঠার সময় খুব ব্যথা হয়।
কারণ দাঁত বেরিয়ে আসার জায়গা পায় না। অনেক সময় অপারেশন করে ওই দাঁতের জন্য জায়গা করে দিতে হয়। অনেকেই বলে থাকেন, আক্কেল দাঁত ওঠা মানেই আক্কেল হওয়া। বিষয়টি কিন্তু ঠিক নয়।
Advertisement
এই দন্তবিশেষজ্ঞ আরও জানান, আক্কেল দাঁতের কোনো প্রয়োজনীয়তা আমাদের মুখে নাই। তাই এ দাঁতগুলো যদি সার্জারি করে ফেলে দেন, তাহলে আর অস্বস্তি থাকবে না।
শুধু আক্কেল দাঁত নয়, যে কোনো দাঁত সম্পর্কে একটা ভুল ধারণা সবার মধ্যেই আছে। তা হলো, দাঁত ফেললে চোখ অন্ধ হবে বা সমস্যা হবে। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।
আক্কেল দাঁতের ক্ষেত্রে অনেকেই মায়া দেখিয়ে যন্ত্রণা সহ্য করলেও ফেলে দেন না। যদিও এ দাঁতের কোনো প্রয়োজন নেই আমাদের। যদি আক্কেল দাঁত ঠিকমতো না উঠে বা এই দাঁত দিয়ে যদি সমস্যা হয় তাহলে এটি ফেলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ডা. ফারিয়া তাবাসসুম।
সূত্র: ডক্টর টিভি
জেএমএস/এমএস