প্রতিদিনের জীবনের অপরিহার্য এক প্রসাধনী হলো সানস্ক্রিন। শতি, গ্রীষ্ম, বর্ষাসহ সব মৌসুমেই প্রয়োজন আছে সানস্ক্রিনের। ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর বেগুণী রশ্মি থেকে রক্ষা করতে এই প্রসাধনীর বিকল্প নেই।
Advertisement
তবে অনেকেই ঠিক বুঝতে পারেন না যে, কোন সানস্ক্রিনটি তার ত্বকের জন্য সঠিক। কারণ ত্বকভেদে একেকজনের জন্য প্রয়োজন ভিন্ন সানস্ক্রিন।
তাই ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে সানস্ক্রিন ব্যবহার না করলে সুফল তো পাবেনই না, বরং ত্বকের আরও ক্ষতি হবে। তাই সানস্ক্রিন ব্যবহার ও কেনার আগে অন্তত ৭টি বিষয় খেয়াল রাখুন-
>> সানস্ক্রিন যেন ব্রড স্পেকট্রাম হয়। অর্থাৎ ইউভিএ আর ইউভিবি দুটো থেকেই আপনার ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে পারে।
Advertisement
>> এসপিএফযুক্ত সানস্ক্রিন সূর্যের আলো থেকে সবচেয়ে কম সুরক্ষা দেয়। এটি ৯৩ শতাংশ সুরক্ষা দেয়। এসপিএফ ৫০ একমাত্র ৯৮ শতাংশ সুরক্ষা দেয়। তবে তার চেয়ে বেশি এসপিএফ দরকার নেই। কারণ এসপিএফ ৭৫ ও ১০০ বিশেষ কোনো বাড়তি সুরক্ষা দেয় না।
>> যদি সানস্ক্রিন মেখে এক্সারসাইজ করেন বা সাঁতারে যান, তাহলে এমন সানস্ক্রিন বেছে নেবেন যেটি ওয়াটার রেজিসট্যান্ট। অর্থাৎ ঘামলে বা জলে ডুব দিলেও সানস্ক্রিন ধুয়ে মুছে যাবে না।
>> সানস্ক্রিন কেনার সময় অনবশ্যই দেখে নেবেন সেটি টু-ইন-ওয়ান হিসেবে কাজ করছে কি না। কারণ অতিরিক্ত রোদে বেশি প্রসাধনী ব্যবহার করা সম্ভব নয়। তাই সানস্ক্রিন যদি আর্দ্রতাও যোগায় আববার অ্যান্টি এজিং উপাদান সরবরাহ করে, তাহলে বেশ সুবিধা পাবেন।
>> ঘর থেকে বের হওয়ার অন্তত আধা ঘণ্টা আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। অনেকেই সানস্ক্রিন ব্যবহারের সময় শুধু মুখে ব্যবহার করেন।
Advertisement
তবে জানেন কি, শরীরের বিভিন্ন খোলা স্থান যেমন- হাত, পায়ের পাতা, গলা, ঘাড় ইত্যাদি স্থানেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
>> অনেকের মধ্যেই ভুল ধারণা আছে, শুধু সূর্যের তাপেই থাকে সূর্যের ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি। তবে জানেন কি, মেঘলা দিনেও কিন্তু সূর্যের ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি যথেষ্ট পরিমাণেই থাকে, যা ত্বকের ক্ষতি করার জন্য কম নয়। তাই রোদ হোক বা মেঘলা, দিনের বেলা যখনই বাইরে বের হবেন, সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন।
>> আপনি যদি কর্মজীবী হন, তাহলে তো দৈনিক বাইরে বের হলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। এ কারণে খুব দামী সানস্ক্রিন ব্যবহার করাটা খুব একটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। তাই বাজেটের মধ্যে ভালো মানের সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
সূত্র: পপজো ডট কম
জেএমএস/এএসএম