ধর্ম

দরূদ পাঠের গুরুত্ব ও ফজিলত

রবিউল আউয়াল বিশ্ব মুসলিমের আবেগ অনুভূতি, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত ঐতিহাসিক স্মরণীয় বরণীয় মাস। এ মাসের মূল তাৎপর্য হচ্ছে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পবিত্র আদর্শের রঙে মুসলমানগণ নিজেদেরকে রাঙিয়ে নিবেন। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন বিশ্ব মানবতার জন্য আদর্শ শিক্ষক। সুতরাং বিশ্বনবীর আদর্শ জীবন অনুসরণ ও অনুকরণের পাশাপাশি তার প্রতি দরূদ পাঠ করা প্রত্যেক ঈমানদারের আবশ্যক কর্তব্য। যা তুলে ধরা হলো-দরূদ পাঠের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফজিলত অত্যধিক। কেননা আল্লাহ তাআলা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি সালাত ও সালাম (দরূদ) প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন-অত্র আয়াতে আল্লাহ সালাত পাঠানোর মর্মার্থ হলো- রহমত। অর্থা‍ৎ আল্লাহ তাআলা বিশ্বনবীর প্রতি অবিরত রহমত বর্ষণ করেন। ফেরেশতাদের সালাত পাঠানোর মর্মার্থ হলো- রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর রহমত বর্ষণের জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া করেন। এই দোয়াই হচ্ছে দরূদ। সুতরাং বিশ্বের ঈমানদাররা, তোমরাও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ পড়।দরূদ পাঠের গুরুত্বরাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কিয়ামাতের দিন সেই ব্যক্তিই আমার সবচেয়ে নিকটবর্তী হবে যে আমার প্রতি বেশি বেশি দরূদ পাঠ করে। (তিরমিজি)রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মাতকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যে ব্যক্তির উপস্থিতিতে আমার নাম উচ্চারিত হবে, কিন্তু আমার প্রতি দরূদ পাঠ করবে না, সে বড় কৃপণ। (তিরমিজি)দরূদ পাঠের ফজিলতদরূদ পাঠকারীদের সুসংবাদ প্রদানে হাদিসে এসেছে, হজরত আবু তালহা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন- একদিন হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এলেন। তখন তার চেহারায় আনন্দের আভা দেখা যাচ্ছিল। এসেই বললেন, হজরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম আমার কাছে এসেছিলেন এবং বলে গেলেন- হে মুহাম্মদ! আল্লাহ তাআলা বলেছেন, আপনি কি এতে সন্তুষ্ট হবেন না যে, আপনার উম্মতের কেউ আপনার ওপর একবার দরুদ পাঠ করলে আমি তার ওপর ১০ বার রহমত বর্ষণ করবো। কেউ একবার সালাম পেশ করলে তার প্রতি সালাম পেশ করবো ১০ বার। আল্লাহ আমাদেরকে বেশি বেশি দরুদ পাঠের তওফিক দিন। (নাসাঈ)অপর বর্ণনায় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করে। আল্লাহ তার প্রতি দশবার রহমত নাযিল করেন, এবং তার দশটি গোনাহ (ছগিরা) মাফ করা হয়, ও তার দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়। (নাসাঈ)সুতরাং আল্লাহ তাআলার নির্দেশ পালন এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনাদর্শ বাস্তবায়ন করি। পাশাপাশি তাঁর প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ দরূদ পাঠ করে তার শাফায়াত লাভে স্বচেষ্ট হই। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে বেশি বেশি দরূদ পাঠ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/এমএস

Advertisement