ভারতের বিপক্ষে ৯-০ গোলে হারের পর সবার আশঙ্কা ছিল, কোরিয়ার বিপক্ষেও বড় ব্যবধানে পরাজয় হবে বাংলাদেশের। কারণ, কোরিয়া কেবল এশিয়ারই নয়, বিশ্ব হকিরও অন্যতম পরাশক্তি।
Advertisement
কিন্তু লাল-সবুজ জার্সিধারীরা দেখিয়ে দিলো, বাংলাদেশ ওতটা খারাপ দল নয়। দক্ষিণ কোরিয়া জিতলেও তাদের ঘাম ঝরিয়ে ছেড়েছেন আশরাফুল-জিমিরা।
শুক্রবার রাতে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বাংলাদেশ হেরেছে ৩-২ গোলে। অথচ তিন বছর আগে এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশকে ৭-০ গোলে হারিয়েছিল এই দক্ষিণ কোরিয়া।
বিশ্ব র্যাংকিয়ে কোরিয়ার অবস্থান ১৬, বাংলাদেশের ৩৮। শক্তিশালী এই কোরিয়ার বিপক্ষে লিড নিয়েছিল বাংলাদেশ। অষ্টম মিনিটে আরশাদ হোসেনের দর্শনীয় এক গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। সোহানুর রহমান সোহানের হিটে আরশাদ হোসেন ডাইভিং ফ্লিকে গোল করলে উল্লাসে ফেটে পড়েন দর্শকরা।
Advertisement
কোরিয়ানরা ম্যাচে ফিরে এক পর্যায়ে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়েও গিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ আবার ব্যবধান কমিয়ে ম্যাচটিকে জমিয়ে দেয়। শেষ দিকে দুটি সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। তার একটি কাজে লাগিয়ে হারের ব্যবধান ৩-২ করে।
১৫ মিনিটে দক্ষিণ কোরিয়ার জাং জংহিয়ুন গোল করে সমতা আনেন। ৪৮ মিনিটে ব্যবধান ২-১ করেন জি উ চিয়ন। ৫৪ মিনিটে পার্ক চিয়োলন গোল করলে মনে হয়েছিল ব্যবধান বড় করেই মাঠ ছাড়বে কোরিয়ানরা। তবে সেটা হতে দেননি বাংলাদেশের তরুণ ফরোায়ার্ড দ্বীন ইসলাম ইমন। ম্যাচ শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে দারুণ গোল করেন বাংলাদেশ স্পোর্টিংয়ের ইমন।
হারলেও বাংলাদেশের লড়াকু খেলা আনন্দ দিয়েছে সবাইকে। কোরিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ তিন ম্যাচে ২৩ গোল খেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই কোরিয়াকে এ ম্যাচে জিততে হয়েছে ঘাম ঝরিয়ে।
ভারতের বিপক্ষে যে ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশে তার চেয়ে অনেক গুছিয়ে ও সাহস করে খেলার ফলই পেয়েছে স্বাগতিকরা। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক বিপ্লব কুজুর।
Advertisement
আরআই/এমএমআর/এএসএম