নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে করোনাভাইরাসের কারণে একপ্রকার অস্বস্তিতে রয়েছে বাংলাদেশ দল। গত বুধবার স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথের করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। যে কারণে বৃহস্পতিবার থেকে অনুশীলন শুরুর অনুমতি থাকলেও, সেটি স্থগিত করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
Advertisement
শুক্রবার সকালেই জাগো নিউজকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ দলের সঙ্গে থাকা নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্ট্রিক্ট কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে পুরো দলকে। এর মধ্যে যেকোনো ধরনের প্র্যাকটিস, আউটিং এবং জিম করা বন্ধ।
তবে এটিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয় নিউজিল্যান্ড স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথের যদি ওমিক্রন হয়ে থাকে তাহলে আরও কড়াকড়ি অবস্থার মধ্যে পড়বে বাংলাদেশ দল। সে ক্ষেত্রে কঠোর কোয়ারেন্টাইন কতদিন বাড়বে, কবেই বা অনুশীলনের সুযোগ মিলবে তা জানে না কেউই।
হেরাথের ওমিক্রন রিপোর্ট আসবে শনিবার। এ বিষয়ে শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ দলের প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেছেন, ‘হেরাথের ওমিক্রন হয়েছে নাকি ডেল্টা, তা জানা যাবে কাল (শনিবার)। ওমিক্রন হলে আরও কড়াকড়ির মধ্যে পড়তে হবে বাংলাদেশ দলকে।’
Advertisement
গত বুধবার হেরাথের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবরের পাশাপাশি আরেকটি খবর আসে। সেটি হলো বাংলাদেশ দলের সঙ্গে ফ্লাইটে থাকা একজন সহযাত্রীর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যে কারণে মুমিনুল হক, মেহেদি হাসান মিরাজ, ইয়াসির আলি রাব্বি ও ফজলে মাহমুদসহ ৯ সদস্যকে বাড়তি আইসোলেশনে রাখা হয়।
করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি সংস্পর্শ থাকায় সেই ৯ জনকে ইয়োলো ব্যান্ড পরিয়ে দেওয়া হয়। আজ থেকে সেই নয়জনের সঙ্গে বাকি সবাইকেও পরিয়ে দেওয়া হয়েছে ইয়োলো ব্যান্ড। এমতাবস্থায় বাড়তি আরও তিনদিন রুম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে সবাইকে।
শুক্রবার বিসিবির পাঠানো ভিডিওবার্তায় টিম অপারেশনস ম্যানেজার নাফিস ইকবাল বলেছেন, ‘অনুশীলন কয়েকদিনের জন্য বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। সরাসরি নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে এই নির্দেশনা এসেছে। আমাদের আরেকটি কোভিড টেস্ট বাকি রয়েছে। নবম দিনের টেস্টে সবাই নেগেটিভ এলে আমরা ছাড়পত্র পাবো।’
নাফিসের এই মন্তব্য হেরাথের ওমিক্রন রিপোর্ট আসার আগে করা। শনিবার জানা যাবে, হেরাথের শরীরে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের উপস্থিতি আছে কি না। তা না থাকলে ২১ ডিসেম্বরের পরই ছাড়পত্র পেয়ে যাবে বাংলাদেশ। অন্যথায় পড়তে হবে আরও কড়াকড়ি অবস্থায়।
Advertisement
এআরবি/এসএএস/এএসএম