ধর্ম

জুমার দিন সবার আগে নামাজে যাওয়ার ফজিলত ও সাওয়াব

মুসলিম উম্মাহর জন্য অনেক মর্যাদা একটি দিন জুমা। সপ্তাহের সেরা দিন এটি। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর জন্য দিনটিকে ইবাদতের সেরা দিন হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। এ দিনে আগে ভাগে মসজিদে যাওয়ার ওপর বিশেষ প্রতিদান ও ফজিলত ঘোষণা করেছেন। কী সেই প্রতিদান ও ফজিলত?

Advertisement

জুমার দিন নামাজ শুরু হওয়ার আগের সময়কে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৫ ভাগে বিভক্ত করেছেন। আবার এ সব প্রহরের আলাদা আলাদা ফজিলত বর্ণনা করেছেন। হাদিসে এসেছে-১. ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন অপবিত্রতা থেকে গোসল করার মতো গোসল করবে, অতঃপর প্রথম প্রহরে মসজিদে গমন করবে সে যেন একটি উট কোরবানি করলো।’২. যে ব্যক্তি দ্বিতীয় প্রহরে মসজিদে গমন করবে, সে যেন একটি গরু কোরবানি করলো।৩. যে ব্যক্তি তৃতীয় প্রহরে মসজিদে গমন করবে, সে যেন একটি দুম্বা কোরবানি করলো।৪. যে ব্যক্তি চতুর্থ প্রহরে মসজিদে গমন করবে, সে যেন (আল্লাহর পথে) একটি মুরগি উৎসর্গ করলো।৫. যে ব্যক্তি পঞ্চম প্রহরে মসজিদে গমন করবে, সে যেন (আল্লাহর পথে) একটি ডিম উৎসর্গ করলো।এরপর ইমাম মিম্বারে খোতবা প্রদানের জন্য আরোহন করলে ফেরেশতারা সাওয়াব লেখা বন্ধ করে (জিকির) খুতবা শোনার জন্য বসে পড়ে। (বুখারি)

হাদিসে উল্লেখিত ৫টি প্রহর/সময় হলো- ‘জুমার দিন সূর্য উদয় হওয়া থেকে শুরু করে ইমামের মিম্বারে আরোহন পর্যন্ত সময়কে বুঝানো হয়েছে।’

যারা এ সময়গুলোর মধ্যে মসজিদে যাবে, তারা হাদিসে উল্লেখিত সাওয়াবের অধিকারী হবে। এমনটিই ঘোষণা দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি।

Advertisement

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, জুমার দিন আগে আগে মসজিদে গিয়ে কোরবানির সাওয়াব ও বিশেষ ফজিলত পাওয়ার চেষ্টা করা। নিরবে ইমামের খুতবা শোনা এবং দিনব্যাপী ইবাদত-বন্দেগিতে কাটিয়ে দেওয়া।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসে ঘোষিত সময়ে মসজিদে যাওয়ার এবং বিশেষ মর্যাদা পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

Advertisement