কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নে লাঙল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মাহমুদার রহমান বকুলের নির্বাচনী পোস্টারে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত এইচ এম এরশাদের ছবি ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এতে আচরণবিধি লঙ্ঘন হলেও ওই প্রার্থীর দাবি, রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে এরশাদের ছবি ব্যবহার করছেন তিনি।
Advertisement
ইউনিয়ন পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর ৮ (৫) ধারায় বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো প্রার্থী নিজ ছবি ও প্রতীক ব্যতীত অন্য কারও নাম, ছবি বা প্রতীক ছাপাতে বা ব্যবহার করতে পারবেন না, তবে শর্ত থাকে যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোনো রাজনৈতিক দলের মনোনীত হলে সে ক্ষেত্রে তিনি কেবল তার দলের বর্তমান প্রধানের ছবি পোস্টারে বা লিফলেটে ছাপাতে পারবেন।’
একই বিধিমালার ৮ (৮) উপধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো প্রার্থী বা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বা রাজনৈতিক দল নির্বাচনী এলাকায় অবস্থিত দেওয়াল বা যানবাহনে পোস্টার লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগাতে পারবেন না।’ তবে ভোটকেন্দ্র ব্যতীত নির্বাচনী এলাকার যেকোনো স্থানে পোস্টার ঝুলিয়ে রাখা যাবে।
তবকপুর ইউপিতে জাতীয় পার্টি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মাহমুদার রহমান বকুল ইউনিয়নের বিভিন্ন গাছ, বৈদ্যুতিক খুঁটি এমনকি বসতবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনার দেওয়ালে পোস্টার ব্যবহার করছেন।
Advertisement
এসব বিষয়ে মো. মাহমুদার রহমান বলেন, ‘এরশাদ সাহেবের ছবি ছাপানোর আগে রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েছি। কোনো আচরণ বিধি লঙ্ঘন করিনি।’
আচরণ বিধির ধারা সম্পর্কে অবগত করলে তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমি রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে ছবি ছাপিয়েছি। আর আমার পোস্টার লাগানোও শেষ।’
আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষেয়ে তবকপুর ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাদিরুজ্জামান বলেন, ‘এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থীকে অভিযোগ করতে হবে।’
এরশাদের ছবি ব্যবহারের অনুমতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি কেন অনুমতি দেব? ছবি ছাপানোর বিষয়ে আচরণ বিধিতে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে।’
Advertisement
মো. মাসুদ রানা/এএইচ/এএসএম