আজ বিজয়ের দিন। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর স্বাধীনতার বিজয় এসেছিলো ১৯৭১ সালে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ও নেতৃত্বে যে বিজয় এসেছিলো তার আজ ৫০ বছর পূর্ণ হলো। এই দিনে সারা দেশে চলছে নানা রকম আয়োজন ও উৎসব। দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনেও দেখা যাচ্ছে সাজ সাজ রব।
Advertisement
এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রত্যাশায় বুক বেঁধেছেন সারা দেশের মানুষ। এই চেতনায় অভিনয়ের আঙিনায় গেল ৫০ বছরে কি অর্জন, কি অর্জন হতে পারতো সেই নিয়ে কথা বলেছেন এদেশের সংগীতের কিংবদন্তি সুজেয় শ্যাম। তিনি জানিয়েছেন কেমন বাংলাদেশ চাই সেই প্রত্যাশার কথাও। লিখেছেন জয়া
অর্জন ও আক্ষেপঅর্জন যদি বলি আমি খুবই কম। সেটা হোক সিনেমা কিংবা গান। স্বাধীনতার আগে যেসব দেশাত্মবোধকত গান হতো, এখন তা খুবই কম। কিছু গান হয়েছে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন বা কোনো একটা কিছু উপলক্ষে। সিনেমাকে কেন্দ্র করে প্রচুর গান হয়েছে একসময়। কালজয়ী সব গান। কিন্তু সিনেমাই নষ্ট হয়ে গেছে। আগে যেমন সিনেমা হতো, এখন আর তা নেই। আর এখন সিনেমা দেখার মানুষও নেই। আগে কোনো সিনেমা মুক্তি পেলে আমরা পরিবারের সবাই মিলে দেখতে যেতাম। একটা সিনেমা রিলিজ হলে সাড়া পড়ে যেতো বাংলাদেশে।
জীবন থেকে নেয়া, সূর্যগ্রহণের মতো অনেক সিনেমা ছিল। এগুলো রিলিজ হলে উৎসবের মতো হয়ে যেত। আমার মনে আছে আগে ঈদের দিনে নামাজের শেষে প্রথম কাজ ছিল সিনেমা দেখা। এগুলো এখন উঠে গেছে। সিনেমা হলো বড় পর্দায় দেখার জিনিস কিন্তু ইন্টারনেটের যুগে সবই হাতে চলে এসেছে। এমনকি টেলিভিশনেও ছবি ভালো লাগছে না।
Advertisement
তবু এ প্রজন্মের কিছু ডিরেক্টরকে ধন্যবাদ জানাই। এই দুঃসময়েও তারা ভালো ছবি করে যাচ্ছেন।
প্রত্যাশাবাংলাদেশ তো যেটা দেখতে চেয়েছিলাম, সেটা আর গড়তে পারলাম কোথায়! সবাই সবার মতো চলেছি, দেশ চলেছে দেশের মতো৷ দেখুন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটা লড়াই করে যাচ্ছেন। কিন্তু তার একার পক্ষে তো আর সম্ভব না। একটা বাড়িতে বাবা-মা যতোই ভালো হোক, সন্তান যদি ভালো না হয় সে ফ্যামিলিতে শান্তি আসে না। প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক ঘরে ঘরে গিয়ে ভালো করতে পারবেন না।
স্বাধীনতা জিনিসটাই তো আমরা বুঝিনি। আজকে আমাদের উপর কেউ কোঠা বলার নাই। আমরা সবাই বাঙালি , আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি। আজ হানাহানি মারামারি করতেছি নিজেরাই। বঙ্গবন্ধুকে অনেকে জাতির পিতা বলতে নারাজ। কেউ স্বাধীনতা মানতে নারাজ। কেউ পাকিস্তানপন্থী। ত্রিশ লক্ষ মানুষ তো এজন্য জীবন দিয়ে যায়নি। এই হলো ঘটনা।
আশার কথা হলো এই প্রজন্ম অনেক জাগ্রত। তারা যেন দেশটাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যায় এটাই প্রত্যাশা করি।
Advertisement
এলএ/জেআইএম