সকাল সাড়ে ১০টা। ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একদল শিশু দোতলার সিঁড়ি ভেঙে নিচে নেমে আসছে। সবার হাতে নতুন বই। তাদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট মিমি। বুকের মধ্যে বই আগলে ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে নামছিল সে। নতুন বই পেয়ে কেমন লাগছে জানতে চাইলে সে বলল, ‘খুব ভালো লাগছে। খুব আনন্দ লাগছে।’ ঠাকুরাঁও শহরের গোয়ালপাড়া থাকে মিমি। বাবা একটি সরকারি অফিসে কাজ করেন। আর মা গৃহিণী।শুক্রবার বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসবে মিমির মতো সব শিশুই নতুন বই হাতে পেয়ে আনন্দে মেতে ওঠেছে।ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হোসেন বলেন, ‘আমরা সকাল ৯টা থেকে দুই পালায় দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দিয়েছি।’ যারা কোনো কারণে বিদ্যালয়ে আসতে পারেনি, তারা পরে এলেও বই পাবে। এ বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে।সকাল পৌনে ৯টা। সরবারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বসে অপেক্ষা করছিল বিভিন্ন শ্রেণির শিশুরা। বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র নূর হোসেন জানায়, নতুন বই পাওয়ার আশায় খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠেছি। সকাল ৮টার মধ্যেই বাসা থেকে বিদ্যালয়ে ছুটে আসি।ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে বই বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক মূকেশ চন্দ্র বিশ্বাস, জেলা শিক্ষা অফিসার হারেছ উদ্দিন, সরকারি বালক উচ্চ ব্যিালয়ের প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামান সাবু প্রমুখ।সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, বর্তমান সরকার নতুন বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে বই বিতরণ করে সারা বিশ্বে আলোড়ণ সৃষ্টি করেছে। এই সরকার শিক্ষা খাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে।তিনি আরও বলেন, আজকে যে শিশুরা বই পেলো তারা আগামী দিনের নেতৃত্ব দিবে। কারণ শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। দেশের শিক্ষার হার বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার।রবিউল এহ্সান রিপন/এসএস/এমএস
Advertisement