দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় হবিগঞ্জের লাখাই ও বানিয়াচং উপজেলায় আওয়ামী লীগের ৩০ নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের মধ্যে বানিয়াচংয়ের ১৬ জন ও লাখাই উপজেলার ১৪ জন। এ নিয়ে জেলার ৫ উপজেলায় ৫৫ জন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হলো।
Advertisement
এর আগে গত ২৫ নভেম্বর হবিগঞ্জ সদর, নবীগঞ্জ ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ২৫ নেতাকর্মীকে একই অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির এমপি ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আলমগীর চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
লাখাই উপজেলায় বহিষ্কৃতরা হলেন- লাখাই ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শরীফ উদ্দিন তালুকদার, মোড়াকরি ইউনিয়নে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাশেম মোল্লা ফয়সল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাহমুদুল হাসান ও যুবলীগ কর্মী মো. জাহিদুল ইসলাম, মুড়িয়াউক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক মিয়া তালুকদার, উপজেলা যুবলীগের সদস্য হাজী মুকলেছুর রহমান ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য মো. নোমান মিয়া, বামৈ ইউনিয়নে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এনামুল হক মামুন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মোর্শেদ কামাল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খসরু নোমান, করাব ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল হাই কামাল এবং বুল্লা ইউনিয়নে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মো. এয়ার হোসেন তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য জাহারুল ইসলাম তাউস ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য শেখ মুর্শেদ কামাল।
Advertisement
বানিয়াচং উপজেলায় বহিষ্কৃতরা হলেন- দৌলতপুর ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আজিজুর রহমান, কাগাপাশা ইউনিয়নে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. এরশাদ আলী, বড়ইউড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. এয়াওর মিয়া, খাগাউড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ দুলাল, সুবিদপুর ইউনিয়নে হবিগঞ্জ পৌর যুবলীগ নেতা মো. কাউছার চৌধুরী, মক্রমপুর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইয়াহিয়া চৌধুরী ও জেলা কৃষক লীগের কৃষি ও ঋণ বিষয়ক সম্পাদক মো. তাহির মিয়া, সুজাতপুর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এনাম খান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদিকুর রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাজার কামরান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ ফরিদ, রবিন চৌধুরী মলু, জেলা কৃষক লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক মো. হেলাল মিয়া, মন্দরী ইউনিয়নে হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হেকিম ফুল মিয়া, মুরাদপুর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রফিকুল ইসলাম পাশা এবং পৈলারকান্দি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন তালুকদার ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. শাহজাহান মিয়া।
তারা চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজ নিজ ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আলমগীর চৌধুরী বলেন, তারা আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হন। এটা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল। দলীয় সভানেত্রীর দেয়া নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। কেন্দ্র থেকেও এ রকম নির্দেশনা আছে। ওই ৩০ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের নাম কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর পাঠানো হয়েছে।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এফএ/এমএস
Advertisement