দেশজুড়ে

আনন্দঘন পরিবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠ্যপুস্তক বিতরণ

বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা আর আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যদিয়ে সারাদেশের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে।শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে এ বই উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূইঞার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী সলিমুল্লাহ, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার প্রমুখ।প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার উপলব্ধি করে যে, জাতি শিক্ষিত না হলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই সরকার শিক্ষাকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে, শিক্ষাখাতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করছে। এরই অংশ হিসেবে সরকার বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দিচ্ছে।পরে আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা জেলা শহরের বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মাঝে বই তুলে দেন।এদিকে, বছরের প্রথম দিনেই নতুন বই হাতে পেয়ে আনন্দে উদ্বেলিত শিক্ষার্থীরা। প্রথম দিনেই নতুন বইয়ের জন্য সরকারকে ধন্যবাদও জানিয়েছে তারা।পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিফুর ইসলাম জাগো নিউজকে জানায়, বছরের প্রথম দিনে বই পেয়ে খুব আনন্দিত। নতুন বইয়ের গন্ধ শুঁকে অনেক ভালো লাগছে। এজন্য সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সরকারকে সে ধন্যবাদও জানিয়েছে।নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিদ্রাতুল মুনতাহা জাগো নিউজকে জানায়, গতকাল রাত থেকেই অপেক্ষায় ছিলাম কখন নতুন বই হাতে পাবো, নতুন বইয়ের গন্ধ শুঁকবো। অবশেষে সকালে নতুন বই হাতে পেয়ে অনেক ভালো লেগেছে। বছরের প্রথম দিনেই বই পাওয়ায় আমরা নির্ধারিত সময়েই আমাদের পাঠ কার্যক্রম শেষ করতে পারবো।আরিফুর ও মুনতাহার মতো নতুন বছরের প্রথম দিনে নতুন বই হাতে পেয়ে বাকি শিক্ষার্থীরাও একই রকম অনুভূতি ব্যক্ত করে।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূইঞা জাগো নিউজকে জানান, বছরের প্রথম দিনে পাওয়া নতুন বই শিক্ষার্থীদের মধ্যে পড়ালেখায় আরো মনোযোগী হতে উৎসাহিত করবে। এ বছর আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সবকটি উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার আট লাখ ৭৩ হাজার ২৪২ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৬৪ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৭টি বই তুলে দেব। ইতোমধ্যেই সকল বই আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে। সকল শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই পৌঁছে দেয়া হবে।আজিজুল আলম সঞ্চয়/এআরএ/পিআর

Advertisement